Kaustav Bagchi: কংগ্রেসের মুখপাত্রদের তালিকা থেকে বাদ কৌস্তভ, নেপথ্যে কানহাইয়া কুমারের হাত?
Kaustav Bagchi: ২৮ অগস্ট মহাজাতি সদনে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে গোলমালে জড়িয়েছিল কৌস্তভের নাম। গোলমালে ইন্ধন দেন কৌস্তভ-ই, ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কানহাইয়া কুমার। তারপরই কৌস্তভের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল।
কলকাতা: ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের (Trinamool Congress) সহাবস্থান কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না কৌস্তভ বাগচী (Kaustav Bagchi)। প্রকাশ্যেই দলের বিরুদ্ধে একাধিকবার তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সোশ্য়াল মিডিয়াতেও করেছেন বিষোদগার। কয়েকদিন আগেই আবার সাফ লিখেছিলেন সংবাদমাধ্যম থেকে তিনি জানতে পেরেছেন তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করার জন্য নাকি দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তবে তাতে তিনি বিশেষ পাত্তা দিতে রাজি ছিলেন না। ডোন্ট কেয়ার বার্তা দিয়ে স্পষ্ট লিখেছিলেন, ‘তৃণমূল আমাদের চোখে চোর ছিল, থাকবে। বাংলার কংগ্রেস কর্মীরা তৃণমূলের সঙ্গে নরম অবস্থান মানবে না।’ এবার সেই কৌস্তভই কংগ্রেসের মুখপাত্রদের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন।
তবে শেষ পর্যন্ত দলবিরোধী কাজের জন্য বাদ পড়তে বল কৌস্তভকে? প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নির্দেশেই বাদ গেলেন কৌস্তভ? জোরালো হয়েছে সেই প্রশ্ন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, লাগাতার দল ‘বিরোধী’ কাজের জন্যই কোপে পড়েছেন কৌস্তভ। বিগত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু পোস্ট করছিলেন কৌস্তভ। দলের লাইন নিয়ে তুলছিলেন তিনি। তাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আপত্তি ছিল। একসময়ে দলের প্রিয় পাত্র হয়েছিলেন বিরাগভাজন।
নাম না করেই ২০ অগস্ট তোপ দেগেছিলেন খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বলেছিলেন, “আমাদের দলে অনেক বিপ্লবী আছে। তাঁরা কে কোথায় কী পোস্ট করছে তা আমাদের পক্ষে সব সময় জানা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেব।” তারপর থেকেই বাড়ছিল গুঞ্জন। তবে তারপরেও নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন কৌস্তভ। জোট নিয়ে বারবার ব্যক্ত করেছেন নিজের আপত্তি। এরইমধ্যে মহাজাতি সদনে গোলমালে নাম জড়ায় কৌস্তভের। ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ২৮ অগস্ট মহাজাতি সদনে ব্য়াপক ঝামেলা হয়। এদিকে ওই অনুষ্ঠানে না আসার জন্য কৌস্তভকে আগে থেকেই বার্তা দেওয়া হয়েছিল দলের তরফে। সোজা কথায় তাঁকে না করা হয়েছিল।
কিন্তু, কৌস্তভ সেখানে যান। সাফ বলেছিলেন, কে ডাকল, কে ডাকল না তাতে আমার কিছু এসে যায় না। মঞ্চে তখন প্রদীপ ভট্টাচার্য, অধীর চৌধুরী, কানহাইয়া কুমার। তখনই আচমকা স্লোগান দিতে দেখা যায় কৌস্তভের অনুগামীদের। জোর করে ঝামেলার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। এটা নিয়ে প্রদীপ, অধীররা মঞ্চ থেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেন। অধীরের লোকজনের বিরুদ্ধে আবার মারধরের অভিযোগ করেন কৌস্তভরা। তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খলা। ক্ষোভ করেছিলেন খোদ কানহাইয়া কুমারও। সূত্রের খবর, সেই সময়েই দলের অন্যান্য লোকজনের কাছে কৌস্তভের পরিচয় সম্পর্কে জানতে চান।
সূত্রের খবর, তাঁকে ছাত্র পরিষদের যে সমস্ত লোকজন বিমানবন্দরে ছাড়তে গিয়েছিলেন তাঁদের কাছেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কানহাইয়া। তাঁদের সাফ বলেন, “একে সরানোর দরকার রয়েছে। আমি গোটাটাই দেখেছি ও কী করেছে। এ শুরু থেকে নিজের লোকজন নিয়ে গোলমাল করেছে। ওর সঙ্গে ছাত্ররা নেই। যেখানে এ সম্পর্কে বলতে হয় আমি বলব।” এরইমধ্যে এবার কৌস্তভের বিরুদ্ধে খাঁড়া নামায় তা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়ে গিয়েছে জল্পনা। সূত্রের খবর, দলের অন্দরে কেউ কেউ বলছেন, উনি বিজেপিতে যাবেন বলেই নাকি এসব করছেন।