Nawsad Siddiqui: সাড়ে ৪ ঘণ্টা CID-র প্রশ্নবাণ সামলে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ধন্যবাদ’ নওশাদের

CID quizzing Nawsad: বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের শেষে বেশ খোশমেজাজেই দেখা গেল নওশাদকে। হাসিমুখে বেরলেন ভবানীভবন থেকে। শরীরী ভাষায় বেশ আত্মবিশ্বাসী মেজাজ।

Nawsad Siddiqui: সাড়ে ৪ ঘণ্টা CID-র প্রশ্নবাণ সামলে মুখ্যমন্ত্রীকে 'ধন্যবাদ' নওশাদের
নওশাদ সিদ্দিকীImage Credit source: নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2023 | 8:57 PM

কলকাতা: প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে সিআইডি গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি। শেষে সন্ধে সাতটা নাগাদ ভবানীভবন থেকে বেরলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। রাজু নস্কর খুনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নওশাদকে ডেকে পাঠান সিআইডি অফিসাররা। সোমবার একপ্রস্থ তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন গোয়েন্দারা। তারপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এদিন ফের তলব। তবে বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের শেষে বেশ খোশমেজাজেই দেখা গেল নওশাদকে। হাসিমুখে বেরলেন ভবানীভবন থেকে। শরীরী ভাষায় বেশ আত্মবিশ্বাসী মেজাজ। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, ভিতরে সিআইডি গোয়েন্দারা তাঁকে ঘটনার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেছেন। বললেন, ‘ঘটনার সঙ্গে আমি কীভাবে যুক্ত, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করলেন। তবে বিচারাধীন বিষয়ে সবকিছু তো বলা যায় না।’

তবে আত্মবিশ্বাসী সুরে নওশাদ বললেন, “আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে, এমন কোনও কথা তো আমি আজ পর্যন্ত ইশারা-ইঙ্গিতেও কখনও বলিনি। ভয় পাওয়ার কী আছে! আমাকে মূল অভিযুক্ত করেছিল। সিআইডি তদন্তভার নিয়েছে। শেষে দেখবেন, সিআইডি আমার নামটা কেটে উড়িয়ে দেবে।” নওশাদ সিদ্দিকীর দাবি, এদিন তাঁকে বেশ কিছু নতুন প্রশ্ন করা হয়েছিল। আবার পুরনো অনেক প্রশ্নও করা হয়েছে। বলছেন, “এতটা সময় বসিয়ে রাখতে হবে, কিছু তো করতে হবে ওদের। সিআইডি নিয়ে আমার কোনও ক্ষোভ নেই। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে যে সিআইডি চলছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।”

এদিন সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেও কটাক্ষের সুরে ধন্যবাদ জানালেন নওশাদ। বললেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাব। আমি লালবাজার সম্পর্কে জানতাম না, ওনার সৌজন্যে জেনেছি। গোয়েন্দা বিভাগ সম্পর্কে জানতাম না, প্রেসিডেন্সি জেল সম্পর্কে জানতাম না। এখন জেনেছি। সিআইডির কথাও ছোটবেলা থেকে শুনতাম। কী জিনিস সিআইডি, খায় না মাখে, তা এখন জানতে পারছি।’

একইসঙ্গে তিনি আরও বললেন,  ‘আমাদের রাজ্যে সবাই ভাল, এদের উপর চাপ না দিলে এরা ভাল করবে। আমাদের রাজ্যে সিআইডি, ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টে অফিসারের অভাব আছে, যাঁরা আছেন তাঁদের ১৬-১৮ ঘণ্টা ডিউটি করতে হচ্ছে। আমাদের কষ্ট হচ্ছে।’