Kestopur: ‘প্রোমোটার গছিয়ে দিল, এখন তো মরণ ছাড়া গতি নেই’, কেষ্টপুরে ভাঙা হচ্ছে বেআইনি আবাসন
Kestopur: আবাসনের বাসিন্দাদের দ্রুত ভবন খালি করার জন্য নির্দেশ দেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এদিন নির্মাণের বাইরের কিছুটা অংশ ভাঙেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। ওই আবাসনে বসবাসকারী এক ব্যক্তি জানান, নির্মাণকারী তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
কলকাতা: কেষ্টপুর বেআইনি নির্মাণ ভাঙল বিধাননগর পুরনিগম। মঙ্গলবার দুপুরে বাগুইআটি থানার কেষ্টপুর রবীন্দ্রপল্লিতে বেআইনি নির্মাণ ভাঙল বিধাননগর পুরনিগম। কর্পোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লি গজিয়ে উঠেছিল এই বেআইনি নির্মাণ। অল্প পরিসরের রাস্তার ওপরে গড়ে ওঠে এই পাঁচতলা ভবন। বহুবার নির্মাণ কর্তা অভিজিৎ পোদ্দার এবং জমির মালিককে নোটিসও দেওয়া হয় পুরনিগমের তরফ থেকে । কোনরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরপরে হাইকোর্টের নির্দেশে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে আসেন প্রশাসনিক আধিকারিক ও বাগুইআটি থানার পুলিশ।
আবাসনের বাসিন্দাদের দ্রুত ভবন খালি করার জন্য নির্দেশ দেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এদিন নির্মাণের বাইরের কিছুটা অংশ ভাঙেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। ওই আবাসনে বসবাসকারী এক ব্যক্তি জানান, নির্মাণকারী তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এখন তাঁরা কোথায় যাবেন, কিছুই বুঝতে পারছেন না।
তিনি জানান, বহুবার তারা নির্মাণকারীকে কাগজপত্র চাইলে, তিনি কিছুই দেননি। তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ঘর কিনেছেন। এখন তারা কী করবেন! যে বাড়ি ভেঙে আবাসন নির্মাণ হয়েছিল, সেই বাড়ির মালিক বৃদ্ধা কল্যাণী বসাক বলেন, “আমার তো পাড়ার লোক। সে কীভাবে বেআইনিভাবে এই কাজ করল। আমাদের পজিসন লেটারও দেননি। আমাদের তিন তলা বাড়ি ছিল। সেই বাড়ি ভেঙে ফ্ল্যাট করল। এখন আমরা যাব কোথায়? আমাদের তো মরণ ছাড়া গতি নেই। ” প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পুরনিগমের কোনও অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ গড়ে উঠেছিল। বারংবার বলা সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁরা নির্মাণ ভাঙতে এসেছেন। প্রশ্ন উঠছে কিভাবে বৈধ কাগজ থাকা না সত্বেও ব্যাঙ্ক লোন পেলেন ক্রেতারা।