Kailash Koch: ‘হিংসার পথে উন্নয়ন সম্ভব নয়’, আত্মসমর্পণ করে উপলব্ধি কেএলও সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ কোচের

KLO: দ্বাদশ শ্রেণি অবধি পড়াশোনা করা কৈলাশ জানেন ৯টি ভাষা। ২০০৬ সাল থেকে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত হন তিনি।

Kailash Koch: ‘হিংসার পথে উন্নয়ন সম্ভব নয়’, আত্মসমর্পণ করে উপলব্ধি কেএলও সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ কোচের
আত্মসমর্পণ সস্ত্রীক কৈলাশের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2022 | 5:05 PM

কলকাতা: রাজ্যের কাছে আত্মসমর্পন করলেন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (কেএলও) সেকেন্ড ইন কম্য়ান্ড কৈলাশ কোচ। ‘হিংসা পথে কোনও উন্নয়ন সম্ভব নয়’, এই উপলব্ধি হওয়ার পর ১৬ বছরের সশস্ত্র আন্দোলনে ইতি টানলেন তিনি। এর পরই বৃহস্পতিবার ভবানীভবনে আত্মসমর্পণ করেছেন তিনি। কৈলাশের সঙ্গে আত্মসমর্পণ করেছেন তাঁর স্ত্রী জুগলি কোচ ওরফে স্বপ্না বর্মণ। কেএলও প্রধান জীবন সিংহের পরই ছিল কৈলাশের স্থান। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে কেএলও-র সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। আত্মসমর্পের পর নিজের অস্ত্রও পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। ভবানী ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, মাসখানেক আগেই কেএলও জঙ্গিদের সমাজেরৃ মূল স্রোতে ফেরাতে প্যাকেজ ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই আত্মসমর্পন করলেন কৈলাশ ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না। যদিও স্বাধীনতা দিবসেই আগেই একটি ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেছিলেন কেএলও প্রধান জীবন সিং। সেই ভিডিয়ো বার্তায় পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবি তুলেছিলেন তিনি।

ভবানী  ভবনে আত্মসমর্পণ করে কৈলাশ বলেছেন, “আমি এবং আমার স্ত্রী সাধারণ জীবনে ফেরার জন্য আত্মসমর্পণ করলাম। সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চাই। ১৬ বছর সশস্ত্র আন্দোলন করলাম। তাতে আমি বুঝেছি হিংসার মাধ্যমে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই আমি আমার কামতাপুরের ভাই-বোন এবং বন্ধুরা জঙ্গলে অস্ত্র ধরে আছে, তাঁদের আমি আহ্বান করছি, অস্ত্র ছেড়ে ফিরে আসুন।” কেএলও-র অনেক সদস্যই আাগামী দিনে আত্মসমর্পন করবেন বলে দাবি করেছেন তিনি। এই কথা বলার পরই নিজের একে-৪৭ পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি।

দ্বাদশ শ্রেণি অবধি পড়াশোনা করা কৈলাশ জানেন ৯টি ভাষা। বাংলা, অসমীয়া, হিন্দি, ইংরেজি, মণিপুরী, বার্মিজ, নাগামিজ, নেপালি এবং বোড়ো ভাষায় কথা বলতে পারেন তিনি। ২০০৬ সাল থেকে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত হন তিনি। ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে অসম এবং পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছু অপারেশনে যুক্ত ছিলেন। ২০১৩ সালে কেএলও সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। প্রায় ২০০ জনকে তিনি অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।

কৈলাশের স্ত্রী স্বপ্না একাদশ শ্রেণির পর নার্সিংয়ে ডিপ্লোমা করেছিলেন। ২০১১ বা ২০১২ সালে তিনি কেএলও-তে যোগ দিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। ২০১৩ সালে অসময় রাইফেলসের হাতে ইম্ফল থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি।  ২০১৪ সালে অসম রাইফেলসের ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে স্বপ্নাকে উদ্ধার করেন কৈলাশ। ২০১৪ সালের ৫ মে কৈলাশকে বিয়ে করেন স্বপ্না। তারপর বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় কৈলাশের সঙ্গে থেকেছেন স্বপ্না।