কয়লা-গরু পাচারের তদন্তে এবার সিবিআই-এর বিরুদ্ধে মামলা হাইকোর্টে

মূলত দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। একটি অনুপ মাঝি করেছেন অপর দুটি করেছেন ওই দুই পুলিসকর্তা।

কয়লা-গরু পাচারের তদন্তে এবার সিবিআই-এর বিরুদ্ধে মামলা হাইকোর্টে
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jan 09, 2021 | 4:40 PM

কলকাতা: কয়লা ও গুরু পাচারকাণ্ডে (Coal and Cattle Smuggling Case) মূল চক্রী অনুপ মাঝি-সহ উচ্চ পদস্থ দুই পুলিস কর্তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। কিন্তু রাজ্য সরকারের অনুুমতি অর্থাৎ ‘জেনারেল কনসেন্ট’ ছাড়াই কীভাবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এইভাবে তদন্ত করতে পারে, তার প্রশ্ন তুলে সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। মূলত দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। একটি অনুপ মাঝি করেছেন অপর দুটি করেছেন ওই দুই পুলিসকর্তা।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল পর্যন্ত যে কোনও বিষয়েই নিজে থেকে তদন্ত করতে পারত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। কিন্তু তারপর ‘জেনারেল কনসেন্ট’এ ধার্য হয়, রাজ্যের কোনও সরকারি কর্তার বিরুদ্ধে এই ধরনের মামলার তদন্ত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্য অথবা হাইকোর্ট কিংবা সুুপ্রিম কোর্টের থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু কয়লা ও গরুপাচারকাণ্ডে তদন্তে নেমে সিবিআই এই ধরনের অনুমতি নেয়নি। আর তাকেই হাতিয়ার করে এবার সিবিআই-এর বিরুদ্ধেই মামলা হাইকোর্টে।

গরু ও কয়লাপাচারকাণ্ডে ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবার কয়েকজনকে সমন পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কয়লা পাচারের মূল অভিযুক্ত হিসেবে অনুপ মাঝি ওরফে লালার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। সমন পাঠিয়ে হাজিরার জন্য তলব করা হয়েছে। যদিও এখনও নাগালে আসেননি লালা।

আরও পড়ুন: পুলিসকেও বিনামূল্যে করোনার টিকা, মোবাইলে রাজ্য সরকারের মেসেজ

আবার এই দুই মামলাতেই দুই আইপিএস কর্তাকে তলব করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আর তারপরই ‘জেনারেল কনসেন্ট’ ইস্যুতে মামলা দায়ের করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসাররা। আবার এই একই ইস্যুতে দিন পনেরো আগেই লালা পৃথক মামলা দায়ের করেছেন। তবে এই মামলাগুলির শুনানি কবে তা জানা যায়নি।