লকডাউনের প্রথম সকালে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ শহরের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, হুগলি সেতুতে উদ্ধার গাড়ি
রবিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেলেন বালিগঞ্জের ব্যবসায়ী (Ballygunge Businessman) শোভন কুমার বিড়লা।
কলকাতা: লকডাউনের প্রথম দিন সকালে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ২ নম্বর পিলারের কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল গাড়িটিকে। নাকা চেকিংয়ের সময় পুলিশের নজরে পড়ে গাড়িটি। কিন্তু কার গাড়ি, কোথায় গেলেন তিনি, তা কিছুই প্রথম আঁচ করতে পারেননি তদন্তকারীরা। পরে গাড়িতে থাকা কাগজ দেখে জানা যায়, গাড়িমালিকের নাম। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেলেন বালিগঞ্জের ব্যবসায়ী (Ballygunge Businessman) শোভন কুমার বিড়লা।
শহরের নামী ব্যবসায়ী শোভন কুমার বিড়লা বালিগঞ্জের অভিজাত এলাকার বাসিন্দা। গাড়ির যন্ত্রাংশের ব্যবসা ছিল তাঁর। মেয়ে দুবাইতে থাকেন, ছেলে মুম্বইতে কর্মরত। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে তিনি কোভিডে আক্রান্ত হন। বর্তমানে তাঁর স্ত্রীও আক্রান্ত। ৭ দিন আগে রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও, ব্যবসায়ী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি।
রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। বাড়ির কাউকেই সেভাবে বিশেষ কিছু জানান না। সকালে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর হাওড়াগামী ২ নম্বর পিলারের কাছে একটি গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে গোটা বিষয়টি উঠে আসে। কিন্তু ব্যবসায়ীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
আদৌ তিনি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাকি গাড়ি দাঁড় করিয়ে অন্য কোথাও চলে গিয়েছেন, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। পরিবার অবশ্য দাবি করছেন, শোভনকুমারের মানসিক অবসাদ ছিল বলে তাঁদের জানা নেই। তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন না বলেই দাবি করছেন তিনি। তবে স্ত্রী ও নিজের অসুস্থতা নিয়ে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। গঙ্গায় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা তল্লাশি চালাচ্ছেন। এখনও পাওয়া যায়নি। তবে সেতুতে সিসিটিভিতে তাঁর গতিবিধি ধরা পড়েনি।
তবে সকালে বিদ্যাসাগর ট্রাফিক গার্ডের একজন পুলিশ কর্মী তাঁকে সেতুতে উঠতে দেখেন। ঘুরে এসে কাউকে দেখা যায়নি বলে দাবি তাঁর। সেই থেকেই অনুমান, তিনি আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন।
আরও পড়ুন: সোমবার শীতলকুচি যাচ্ছে সিআইডি-র বিশেষ দল, গুলি কাণ্ডের পুনর্নির্মাণের সম্ভাবনা
তবে একটি বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে, লকডাউন কার্যকর করতে যেখানে তৎপর পুলিশ, রাস্তায় চলছে কড়া তল্লাশি। সেখানে কীভাবে ব্যবসায়ী কীভাবে গাড়ি নিয়ে বালিগঞ্জ থেকে বেরিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতু পর্যন্ত পৌঁছলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশের নজরজারি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।