‘ইটস্ অ্যা বিগ কন্সপিরেসি’, জাকিরকে দেখতে এসে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "জাকিরের অবস্থা অনেকটাই খারাপ। সকালে বিপি ৫০-এ নেমে গিয়েছিল। হাত-পায়ের অবস্থা খারাপ। ওর সঙ্গে অনেক ছেলে ছিল. তাদের কারোর হাত উড়ে গিয়েছে, কারোর পা উড়ে গিয়েছে। ওদের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। আমি তো কোনওক্রমে দূর থেকে দেখে চলে এসেছি।
কলকাতা: “পুরো ঘটনাটাই পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। রেল কোনওভাবেই বিস্ফোরণের দায় এড়াতে পারে না। ইটস অ্যা বিগ কন্সপিরেসি…” মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নিমতিতা স্টেশনে বোমা বিস্ফোরণে আহত শ্রম প্রতি মন্ত্রী জাকির হোসেনকে (Jakir Hossain) দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার বেলা সওয়া এগারোটা নাগাদ হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেসময় জাকির হোসনকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার আগে ফিরহাদ হাকিমের ফোনে জাকিরের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে তিনি বলেন, “খুবই ভয়াবহ একটি ঘটনা। এটা একটা কন্সপিরেসি। কীভাবে ঘটনার সময় স্টেশনে কোনও রেল পুলিশ থাকল না, আমি তো অবাক হলাম। পুরো বিষয়টাই তদন্ত সাপেক্ষ। তবে প্রাথমিকভাবে খোঁজ খবর নিয়ে আমি জানতে পেরেছি, রিমোটের মাধ্যমে বোমাটা ফাটানো হয়েছিল। জাকিরের সঙ্গে যারা ছিল, তারাই এই অভিযোগটা করছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি জানান, যে জায়গায় বোমাটা ফাটে, এলাকাটা পুরো অন্ধকার ছিল। স্টেশনে কোনও পুলিশ ছিল না। জাকির যে ট্রেন উঠবেন, তা আগেই থেকেই আততায়ীরা জানত বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরোটাই পূর্ব পরিকল্পিত। কেন রেলের তরফে এখনও কোনও এফআইআর দায়ের করা হল না. তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জাকিরের অবস্থা অনেকটাই খারাপ। সকালে বিপি ৫০-এ নেমে গিয়েছিল। হাত-পায়ের অবস্থা খারাপ। ওর সঙ্গে অনেক ছেলে ছিল. তাদের কারোর হাত উড়ে গিয়েছে, কারোর পা উড়ে গিয়েছে। ওদের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। আমি তো কোনওক্রমে দূর থেকে দেখে চলে এসেছি।”
আরও পড়ুন: পায়ে বোমার একাধিক স্প্লিন্টার, আজই এসএসকেএমে অস্ত্রোপচার মন্ত্রী জাকিরের
গুরুতর আহতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ও অপেক্ষাকৃত কম আহতদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি নকল হাত-পা লাগিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থার কথাও ঘোষণা করলেন। মুর্শিদাবাদের এই ঘটনায় কমবেশি ২৬ জন আহত বলে জানান তিনি। আহতদের মধ্যে ১১ জন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। আরও চার জনকে মুর্শিদাবাদ থেকে আনা হচ্ছে। ওখানে ১০-১১ জন ভর্তি রয়েছেন। ৬ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
জাকির হোসেনকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন ফিরহাদ হাকিমও। ঘটনাটি নিন্দনীয় ও জঘন্য, বলেছেন সৌগত রায়ও।