Municipal Election: অনিশ্চিত পুরভোট! হাইকোর্টে কমিশন জানিয়ে দিল এখনই বিজ্ঞপ্তি নয়
Municipal Election: এ বিষয়ে রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিল আদালত।
কলকাতা হাইকোর্টে সম্প্রতি একটি মামলা দায়ের করে বিজেপি। সেখানে তারা জানায়, কেন শুধুমাত্র কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট করাতে চাইছে রাজ্য সরকার? কেন বাকি পুরসভাগুলিতে এখনই ভোট করানো হবে না। প্রধান বিচারপতির এজলাসে মঙ্গলবার এই মামলা ওঠার পরই নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় আপাতত এ বিষয়ে তারা কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। একই সঙ্গে কমিশন জানিয়ে দেয়, আপাতত ভোটের কোনও বিজ্ঞপ্তি তারা জারি করছে না। অর্থাৎ ১৯ ডিসেম্বর ভোটের দিন কার্যত ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। রাজ্য সরকার-রাজ্য নির্বাচন কমিশন উভয় পক্ষই সায় দিয়েছিল।
কিন্তু নতুন করে আইনি জটিলতা তৈরি হল, তাতে আদৌ ১৯ তারিখ দুই পুরসভায় ভোট হওয়া সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ থাকছে। কারণ, এ মাসেই ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার কথা। কিন্তু আদালতে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, যতদিন এই মামলা না শেষ হয় তারা বিজ্ঞপ্তি জারি করছে না।
মোট ১১২টি পুরসভায় ভোট হওয়ার কথা। এই তালিকায় রয়েছে কলকাতা ও হাওড়ার নামও। কিন্তু রাজ্য শুধুমাত্র এই দুই পুরসভাতেই ভোট চেয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলে বিজেপি। এদিন আদালত রাজ্য ও কমিশনের কাছে যে হলফনামা চেয়েছে, তাতে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন বাকি ১১০টি পুরসভায় ভোট করানো হচ্ছে না? হলে সেটা কবে হবে?
আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত বলেন, “অর্ডার হাতে পাইনি। তাই বিষয়টা এখনও বলতে পারব না। তবে আমার তো মনে হয় না মামলার সঙ্গে ভোটের কোনও কিছু প্রকাশ না করতে পারার কোনও যোগ আছে বলে।”
বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের কথা, “পুরভোট নিয়ে একটা ছেলেখেলা করছে রাজ্য সরকার। বাম আমলে এমন করা হয়েছিল, ইলেকশন কমিশন থেকে রাজ্য সরকারের ক্ষমতা বেশি। কবে ভোট হবে, কাদের ভোট হবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের যে ভূমিকা ভারতবর্ষের আর কোনও রাজ্যে নেই। বামেরা এই রাজ্যে একমাত্র এই নিয়ম করেছিল। তার উপরে এই রাজ্য সরকার ইচ্ছামতো বল প্রয়োগ করছিল। এত ভোট বাকি, বছরের পর বছর, অথচ এতদিন পর দু’ জায়গায় ভোট করবে। এটা তো চলে না। বালিটা ইচ্ছামতো একবার জুড়ে দিল। আবার বাদও দিয়ে দিল। কোনও নিয়ম মানবে না, শুধু নবান্নে বসে সই করবে আবার বিধানসভায় সংখ্যাগুরু তাই প্রস্তাব পাশ করবে।”
সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, “প্রথমদিন থেকেই আমাদের আশঙ্কা ছিল এরা পুরভোট করবে না। নানা বাহানা, অছিলা তৈরি করবে। যদিও মুখে বলছে পুরভোট করব। যদি ভোট করতেই হয় তা হলে শুধু হাওড়া কলকাতা কেন, গোটা পশ্চিমবঙ্গে যেখানে যেখানে পুরবোর্ডের সময়সীমা পার হয়েছে বহুদিন ধরে, সেখানে কেন ভোট করাচ্ছে না? আসলে এরা আগ্রহীই নয়। কোনও কাজই এরা সততার সঙ্গে করে না।”
আরও পড়ুন: ‘একটা সময় অডিটকে আতঙ্ক মনে করা হতো, এখন আর সেদিন নেই’, প্রথম অডিট দিবসে বললেন নরেন্দ্র মোদী