Narada Case: দেশ ছাড়া যাবে না, নারদ মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন ফিরহাদ-শোভন-মদনের

Narada Case: সকালেই বিচার ভবনে হাজিরা শোভনের, সঙ্গী ছিলেন বৈশাখী। আদালতে হাজিরা দেন মদন, ফিরহাদও। ১ সেপ্টেম্বর ইডি তিন হেভিওয়েটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়।

Narada Case: দেশ ছাড়া যাবে না, নারদ মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন ফিরহাদ-শোভন-মদনের
নারদা কাণ্ডে তিন হেভিওয়েটের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 16, 2021 | 1:35 PM

কলকাতা: নারদ মামলা (Narada Case) অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন ফিরহাদ-শোভন-মদন। নারদা মামলায় আজ, মঙ্গলবার আদালতে (Calcutta High Court) হাজিরার পর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করা হয় তাঁদের। ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন পান তাঁরা। দেশ ছাড়তে পারবেন না কেউই, এই শর্তেই জামিন মঞ্জুর হয় ফিরহাদ-শোভন-মদনের। নারদ মামলায় কিছুটা স্বস্তি পেলেন তিন হেভিওয়েট।

এদিন সকালেই বিচার ভবনে হাজিরা শোভনের, সঙ্গী ছিলেন বৈশাখী। আদালতে হাজিরা দেন মদন, ফিরহাদও। ১ সেপ্টেম্বর ইডি তিন হেভিওয়েটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। এরপর সমন জারি করা হয়। সেই সমনের পর হাজিরা দেন ফিরহাদ, মদন, শোভন।

এদিন আদালতে জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর শোভন বলেন, “আমাদের ইশ্বরে বিশ্বাস আছে। আইনের ওপর বিশ্বাস রয়েছে। সিবিআই যেদিন নিয়ে গিয়েছিল, সেদিনও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ছিল। আমরা যেদিন ইডি দফতরে গিয়েছিলাম, সেদিনও ছিল, আজও রয়েছেন। আমাদের লড়াই এক সংগ্রাম। আমাদের কারোর প্রতি কোনও শত্রুতা নেই। ইশ্বর রয়েছে। আজকের দিনটা হল প্রমাণিত সত্য। যে ব্যক্তির কথা বলা হচ্ছে, তাঁকে আমি চোখেও দেখিনি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের কোনও প্রশ্নই আসছে না। বহু ঝড় গেল। কেউ বুঝে করেছেন, কেউ না বুঝে ধারণায় করেছেন। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তিনি যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”

তবে এদিন তিন হেভিওয়েট হাজিরা দিলেও, আদালতে আসেননি অপর অভিযুক্ত আইপিএস সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা। কেন তিনি আসেননি, সে প্রশ্ন তোলে ইডি। তাদের দাবি, মির্জার জামিন বাতিল করা হোক। ইডি-র তরফে আদালতে সওয়াল করা হয়, বাকিরা এসেছেন। এক্ষেত্রে কেন মির্জা আসবেন না? তাঁর জামিন বাতিল হবে না কেন? অন্তর্বর্তী জামিন আছে মানেই, তিনি আদালতে আসবেন না এটা হতে পারে না। এই বিষয়ে আগে থাকে তাদের কিছু জানানো হয়নি বলেও আদালতে সওয়াল করে ইডি।

ইডির তরফ থেকে বাকিদের জামিনেরও বিরোধিতা করা হয়। তবে এই কেসে আরও এক অভিযুক্ত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবরও এদিন ইডির তরফে আদালতে জানানো হয়। অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়, যে কোনও দিন সমনে তাঁরা হাজিরা দেবেন। অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে সাগর মেলার পরে যে কোনও দিন মামলা রাখার কথা বলা হয়। এরপরই ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর হয় তিন হেভিওয়েটের। ২৮ জানুয়ারি এই মামলার পরর্বতী শুনানি। ততদিন অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর তিন হেভিওয়েটের।

গত ১৭ মে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী  ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও আর এক নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁদের গৃহবন্দি করার কথা বলা হয়। বৃহত্তর বেঞ্চে চলছিল সেই মামলার শুনানি। সেই মামলায় সিবিআই-এর পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দুটি শর্ত রেখেছিলেন। দুটিই শর্তই মেনে নেওয়া হয়েছে। সলিসিটর জেনারেলের পক্ষ থেকে শর্ত রাখা হয়েছিল, যাতে জামিন দেওয়া হলেও অভিযুক্তরা টিভি বা সংবাদপত্রে কোনও সাক্ষাৎকার দিতে না পারেন। এছাড়া, পরবর্তীকালে জামিন খারিজ হয়ে গেলে ফের চারজনকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও শর্ত রাখা হয়েছিল। বৃহত্তর বেঞ্চে সেই মামলার শুনানিতে জামিন দিয়েছিল আদালত। ‘গ্রেফতার না করেও তদন্ত হতে পারে’ বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। ক‍লকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) জামিন পেয়েছিলেন চার হেভিওয়েট।

আরও পড়ুন: বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধি আদতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত, প্রস্তাব আসতে চলেছে বিধানসভায়