AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বাংলার ৬ জেলায় হয়নি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ম্যাপিং, জবাবদিহি চাইল কেন্দ্র

Kolkata: প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করার প্রশ্নে সাব-সেন্টারগুলির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলার ৬ জেলায় হয়নি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ম্যাপিং, জবাবদিহি চাইল কেন্দ্র
ফাইল ছবি
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2021 | 7:02 AM
Share

কলকাতা: রাজ্যের ছয় জেলায় সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ম্যাপিং না হ‌ওয়ায় কেন্দ্রের জবাবদিহির মুখে পড়ল স্বাস্থ্য ভবন। কেন্দ্রের জবাবদিহির মুখে পড়ে পাঁচ জেলা। স্বাস্থ্য জেলা বিষ্ণুপু্রকে ভর্ৎসনা করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

কেন্দ্রীয় প্রকল্পে গড়ে ওঠা সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র‌ বা সাব সেন্টারের অন্তর্গত কতগুলো গ্রাম রয়েছে তার একটি ম্যাপিং করতে হয়। গত ১৯ অগস্টের তথ্য অনুযায়ী, বাঁকুড়ায় ৩৮.৮, মালদহে ৪৭.৪, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৬৭.৬ এবং পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমানে ১৩.৯ শতাংশ সাব সেন্টারে ম্যাপিংয়ের কাজ হয়নি।

প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করার প্রশ্নে সাব-সেন্টারগুলির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সেই কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না তার উপরে নজরদারি চালায় কেন্দ্রীয় আইডিএসপি ( ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভেল্যান্স প্রোগ্রাম)। কেন্দ্রীয় সংস্থার নিয়মিত নজরদারিতে এ রাজ্যে প্রকল্প পরিচালনায়া গাফিলতির ছবি ধরা পড়েছে।

সেই প্রসঙ্গ টেনে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্যজেলা-সহ ছয় জেলাকে সতর্ক করে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে বলা হয়েছে, ছ’টি জেলা ঠিকমতো কাজ করলে স্বাস্থ্য দফতরকে কেন্দ্রের জবাবদিহির মুখে পড়তে হতো না!

কোভিড, সোয়াইন ফ্লু’, ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়া, কলেরা, ডায়ারিয়া-সহ কোন‌ও রোগ দেশের কোথাও প্রবল আকার ধারণ করেছে কি না, তার উপরে নজরদারি চালায় আইডিএসপি। এলাকার নিরিখে সাব সেন্টারগুলোর কাছে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কাজ এগিয়ে নিয়ে যায় আইডিএসপি। সেদিক থেকে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে, অক্টোবরেই করোনার তৃতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়তে পারে বাংলায়। সেই মতো বেশ কয়েকটি বিষয়ে জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে।

তৃতীয় ঢেউয়ের আগে প্রস্তুতির নিরিখে মূলত দু’টি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে স্বাস্থ্যভবন। টিকাকরণে গতি, কোভিড আক্রান্ত কম বয়সীদের চিকিৎসায় পরিকাঠামোয় জোর। শহরের পরে পঞ্চায়েত এলাকাতেও টিকাকরণের হার বৃদ্ধিতে নজর দিচ্ছে রাজ্য। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে পিকু (PICU), এসএনসিইউ (SNCU), পেডিয়াট্রিক এইচডিইউ-এর পরিকাঠামো তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। মৃদু-মাঝারি উপসর্গ যুক্ত কমবয়সিদের (৩ মাস-১২ বছর) জন্য রাজ্যজুড়ে ১০ হাজার শয্যা চিহ্নিত করা হয়েছে।

রাজ্যের জেলা স্তর পর্যন্ত হাসপাতালগুলিতে বেড ও সিসিইউ-এর পরিষেবা বাড়ানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১৫৫০ টি সিসিইউ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৮৪টি পিআইসিইউ বেড, ২৭০টি এনআইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিসিইউ, পিআইসিইউ, এনআইসিইউ- সব মিলিয়ে ২৩৪৮টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিত্সক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকছেন বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞরাও। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ও জেনারেল ফিজিশিয়ানের একটি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শিশুদের চিকিত্সার ক্ষেত্রে মূলত কী ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হবে, তার একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। আশা ও এএনএম কর্মীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক স্তরের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলির সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের টেলি কনসালটেশনের মাধ্যমে পরামর্শের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: স্কুল খোলার প্রাথমিক প্রস্তুতি! শিক্ষকদের টিকাকরণ বাড়াতে বলল নবান্ন