বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা, কলকাতার বুকে কিডনি পাচার চক্রের পর্দা ফাঁস
Kolkata: প্রায় ২০ বছর পর ফের খবরের কাগজে একই ধরনের বিজ্ঞাপন এবং একই নম্বর দেখে ফোন করেন অরূপ।
কলকাতা: খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে কিডনি (Kidney Smuggling Case) কেনার নামে প্রতারণার অভিযোগ। খাস কলকাতায় পর্দাফাঁস কিডনি পাচার চক্রের। প্রতারিত অরূপ দে-র অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে কিডনি নিয়ে দেওয়া হয়নি টাকা। এ নিয়ে লালবাজারে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন থেকে জেনেছিলেন, কিডনি বিক্রি করলে পাওয়া যাবে ৩ লক্ষ টাকা। টাকার প্রয়োজনে কিডনি বিক্রি করতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন অরূপ দে। তবে তাঁর অভিযোগ, অস্ত্রোপচার করে তাঁর কিডনি নেওয়া হলেও কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। যে নম্বর থেকে ফোন করা হয়েছিল, সেটাও তারপর থেকে বন্ধ ছিল।
প্রায় ২০ বছর পর ফের খবরের কাগজে একই ধরনের বিজ্ঞাপন এবং একই নম্বর দেখে ফোন করেন অরূপ। জানতে পারেন একই ভাবে কিডনি কেনাবেচার নামে চলছে প্রতারণা। এ নিয়ে অভিযুক্ত নীতীশ গুপ্ত এবং রণবীর রজকের নামে তিনি লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অরূপের বয়ান অনুযায়ী, ২০০০-০১ সালে তিনি আর্থিক অনটনের জন্য পেপারে বিজ্ঞাপন দেখে কিডনি দেন। কিন্তু ৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলা হলেও তাঁকে নীতীশ গুপ্ত কোনও টাকা দেননি। উল্টে ফোন নম্বর বন্ধ করে দেয়।
সম্প্রতি অন্য পেপার এ একই ফোন নম্বর দেখে ফের কিডনি দেবেন বলে বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে যান। তার আগে আনন্দপুর থানাকে জানিয়ে গেলেও পুলিশ কোনও সাহায্য করেনি। লিখিত অভিযোগেও সাহায্য না পেয়ে লালবাজারর দারস্থ হন অরূপ দে।
এদিকে, অভিযুক্ত রণবীর রজক বিশেষ ভাবে সক্ষম। অভাবের তাড়নায় ২০১৩ সালে তিনি ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে একটি কিডনি বিক্রি করেন আরেক ব্যক্তি নীতিশ গুপ্তের মাধ্যমে। রণবীরের অভিযোগ, নীতিশ তাঁকে ফোনে করে টেলিকলারের কাজ করতে বলেছিল ও খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। সেই মতো বিজ্ঞাপনএর মাধ্যমেই কথা হয় অভিযোগকারী অরূপ দেব। অরূপ নিজে কিডনি দেবে বলে যোগাযোগ করেছিল। আরও পড়ুন: ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, কোন দিন কোন জেলায় বৃষ্টি? নির্দিষ্ট করে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর