Kolkata Medical: Ragging-এর অভিযোগ পেল মান্যতা, বিধিনিষেধ আরোপ হতে পারে দুই চিকিৎসক পড়ুয়ার পড়াশোনায়
Kolkata Medical College: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, "আলোচনা চলছে। যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে আমরা কিছু অস্বাভাবিক আচরণ তো দেখেছি। যে বিভিন্ন ধরনের রায় আমরা পেয়েছি, তার থেকে একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে।"
কলকাতা: মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে র্যাগিংয়ের অভিযোগে সিলমোহর। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে মান্যতা পেল অভিযোগ। সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক পড়ুয়ার অ্যাকাডেমিক কার্যকলাপেও বিধিনিষেধ জারির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে র্যাগিং রোধে তৈরি হচ্ছে SOP। চিকিৎসকদের আচরণের পরিবর্তনে কাউন্সেলিংয়েরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুক্রবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষের কাছে কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে। র্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি অঞ্জন অধিকারী বলেন, “আজকে এনকোয়ারি কমিটি সমস্ত স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে, সব স্টেক হোল্ডারদের ডেকে একটা ডিসকাশন স্টেটাস রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। যাঁরা অভিযোগ করেছে, তারাও আমাদের ছাত্র। আবার যারা অভিযুক্ত , তারাও ছাত্র। আমরা পরিষেবাটার ওপর বিশেষ নজর রাখি। যাতে মুখ্য় উদ্দেশ্য ব্যহত না হয়। তবে এ বিষয়টিও দেখতে হবে, যাতে অ্যাকাডেমিক পরিবেশও বিঘ্নিত না হয়, সেটাও বিশেষ ভাবে দেখা হচ্ছে। একটা বিষয় পরিষ্কার মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনওভাবে এই ধরনের কোনও অন্যায়কে বরদাস্ত করবে না।”
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, “আলোচনা চলছে। যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে আমরা কিছু অস্বাভাবিক আচরণ তো দেখেছি। যে বিভিন্ন ধরনের রায় আমরা পেয়েছি, তার থেকে একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে।”
প্রসঙ্গত, ১০ জানুয়ারি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে একটি অভিযোগ জমা পড়ে। হাসপাতালের দুই জুনিয়র পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি লিখিত অভিযোগ করেন। কাঠগড়ায় ছিলেন ওই একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের দুই চিকিৎসক পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ, মানসিক নির্যাতন, এমনকি থুতু ছিটিয়ে দেওয়ার মতোও অভিযোগ ওঠে। ঘটনার ঠিক পাঁচ মাস আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বপ্ন-মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা বাংলা। এই পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল কলেজের এহেন ঘটনা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তৈরি করা হয় অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি।