Electrocution: বাতিস্তম্ভে আর্থিং-এর সমস্যা? আর্থ মেগার দিয়ে পরীক্ষা হবে কলকাতার সব ল্যাম্প পোস্ট
Firhad Hakim: শহরে একের পর এক তরিদাহত হয়ে মৃত্যু ঘটনা রুখতে মেয়রের দফতরে পরামর্শ পাঠিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কে ডি মুখোপাধ্যায়। তিনি কলকাতা পুরনিগমকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ল্যাম্প পোস্টে আর্থিং আছে কি না তা আর্থ মেগার যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব।
কলকাতা : শহরে বিগত কয়েকদিনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক মৃত্যু হয়েছে। আর তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল কলকাতা পুরনিগম এবং সিইএসসি-র ভূমিকা নিয়ে। টনক নড়েছিল পুর প্রশাসনেরও। তড়িঘড়ি বৈঠক হয়। শুরু হয় নজরদারির কাজ। এবার আর্থ মেগার দিয়ে শহরের সমস্ত ল্যাম্প পোস্ট পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। উল্লেখ্য, শহরে একের পর এক তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু ঘটনা রুখতে মেয়রের দফতরে পরামর্শ পাঠিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কে ডি মুখোপাধ্যায়। তিনি কলকাতা পুরনিগমকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ল্যাম্প পোস্টে আর্থিং আছে কি না তা আর্থ মেগার যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব।
যাদবপুরের অধ্যাপকের সেই পরামর্শ মেনেই কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই আর্থ মেগার যন্ত্র দিয়ে সমস্ত ওয়ার্ডে বাতিস্তম্ভ পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। এরপর অধ্যাপককে ফোন করে নিজেই ধন্যবাদ জানান মেয়র। এর পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভাগের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, প্রত্যেকটি বরোর জন্য একটি করে আর্থ মেগার কেনার জন্য। ১৪৪ টি ওয়ার্ডের সব ক’টি বাতিস্তম্ভ পরীক্ষা করে দেখা হবে। আগামী সপ্তাহে টেন্ডার করে দ্রুত এই আর্থ মেগার যন্ত্র কেনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে মেয়র জানিয়েছেন, “আর্থ মেগার যন্ত্রের মাধ্যমে বোঝা যাবে কোনও বাতিস্তম্ভে বিদ্যুতের লিকেজ আছে কি না। প্রতিটি ওয়ার্ডে মেশিন লাগানো হবে।”
সেইসঙ্গে শহরের প্রত্যেক নাগরিকের কাছেও আবেদন জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কোথাও শহরের কোনও ল্যাম্প পোস্ট বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখলে তার ছবি তুলে ‘শো টু ইউর মেয়র’-এ দেওয়া নম্বরে তা জানানোর জন্য। এমন কোনও ছবি এলে, তার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মহানাগরিক। তবে এর পাশাপাশি মেয়র এও স্পষ্ট করে দেন রাজাবাজারের ঘটনার সঙ্গে পুরনিগমের কোনও যোগ নেই। মেয়র বলেন, “রাজা বাজারের সঙ্গে কলকাতা পুরনিগমের কোনও সম্পর্ক নেই। হুকিংয়ের জন্য ওই ঘটনা ঘটেছিল। সিইএসসি-কে বলা হয়েছে, এটা যাতে অবিলম্বে বন্ধ করা হয়। ট্যাংরার ঘটনায় ভিতরের থেকে আগুন লেগেছিল।”