ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’, আমফানের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলায় নয়া স্ট্র্যাটেজি নবান্নের

ক্রমেই শক্তি বৃদ্ধি করছে ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' ( Cyclone Yaas)। বুধবার পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলায় আছড়ে পড়তে পারে একটি ঘূর্ণিঝড়। আমফানের (Amphan) স্মৃতি মাথায় রেখে কোমর বেঁধে প্রস্তুত প্রশাসনও।

ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস', আমফানের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলায় নয়া স্ট্র্যাটেজি নবান্নের
ছবি- ফেসবুক
Follow Us:
| Updated on: May 21, 2021 | 10:25 AM

কলকাতা: ক্রমেই শক্তি বৃদ্ধি করছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ ( Cyclone Yaas)। বুধবার পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলায় আছড়ে পড়তে পারে একটি ঘূর্ণিঝড়। আমফানের (Amphan) স্মৃতি মাথায় রেখে কোমর বেঁধে প্রস্তুত প্রশাসনও। হাতে রয়েছে আর ক’টা দিন। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতিতে কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে, রাজ্যের সমস্ত জেলা প্রশাসনের জন্য নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সমস্ত ছুটি আপাতত বাতিল করা হচ্ছে। জেলা এবং ব্লক স্তরের কন্ট্রোল রুমকে ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় রাখতে হবে। আমফানের মতো পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য বৃহস্পতিবার বৈঠক রয়েছে বিদ্যুৎভবনে। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে সমস্ত পুরসভাগুলিকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কোভিড বিধি মেনে সেল্টার তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভাগুলিকে। সম্ভাব্য বিপজ্জনক জায়গা চিহ্নিত করে এলাকাবাসীকে প্রয়োজনে স্থানান্তরিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঝড়ে গাছ পড়ে গেলে, দ্রুত তা সরানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা, পানীয় জলের সরবরাহের দিকে নজর রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আমফানের সময় বহু গাছ উপড়ে পড়েছিল। এবং তা সরাতেও সময় লেগে গিয়েছিল বহু দিন। পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থা সঠিক না থাকায় বিভিন্ন জেলার জলবন্দি দশা ধরে পড়েছিল দীর্ঘদিনই। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন করে পরিকল্পনা করছে প্রশাসন।

পাশাপাশি সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যাওয়া বন্ধ করতে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে কেউ আছেন কি না, তা জানতে আকাশপথে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে উপকূল বাহিনীকে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শনি থেকে শক্তি বাড়িয়ে সোমে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ‘ইয়াস’। বুধবার সকালে আছড়ে পড়বে বাংলায়।

দিন নির্ধারিত করে ‘ইয়াস’এর গতি

২২ মে আন্দামান সাগর লাগোয়া পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হবে।

২৩ মে থেকেই মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা।

২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে ‘ইয়াস’।

২৬ মে বাংলা-ওড়িশা উপকূলের কাছে ঝড় হতে পারে।

আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়! বাংলার কোন কোন এলাকায় বেশি বিপদের আশঙ্কা? দিন নির্ধারিত করে সতর্কবার্তা

আতঙ্কে প্রহর গুনছে সুন্দরবন (Sundorban)। একে কোভিডের আবহ, তার ওপর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস- উৎকন্ঠার দিন গুনছে গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা। আতঙ্কে দিন কাটছে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাড়োয়া-সহ একাধিক এলাকা। রাজ্যকে সতর্কবার্তায় কেন্দ্র জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। ‘ইয়াস’-এর সম্ভাব্য অভিমুখ বাংলা-ওড়িশা উপকূল।