Junior doctors protest: পুলিশের সঙ্গে টানাপোড়েন, ‘নো এন্ট্রি’-র নজরদারি এড়িয়ে অনশন মঞ্চের সামনে বসল বায়ো টয়লেট
Junior doctors protest: এক আন্দোলনকারী বলেন, "অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের শরীর ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। ওদের পক্ষে তো হেঁটে গিয়ে দূরের পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেটে যাওয়া সম্ভব নয়। পুলিশকে তো বিষয়টার গুরুত্ব বুঝতে হবে। মানবিক কারণে এই অনুমতি দেওয়া দরকার।"
কলকাতা: ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের জন্য বায়ো টয়লেট বসানো নিয়ে পুলিশের সঙ্গে টানাপোড়েন আন্দোলনকারীদের। পুলিশের কাছে বায়ো টয়লেটের আবেদন জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু, পুলিশের কাছ থেকে তার কোনও জবাব এখনও তাঁরা পাননি। অবশেষে নিজেরাই উদ্য়োগী হয়ে সোমবার দুটি বায়ো টয়লেট অনশন মঞ্চের সামনে বসান আন্দোলনকারীরা। কিন্তু, এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের টানাপোড়েন শুরু হয়। এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, অনশন মঞ্চে যাতে বায়ো টয়লেট আসতে না পারে, তার জন্য শহরের বিভিন্ন রাস্তায় নজর রেখেছিল পুলিশ। বায়ো টয়লেট নিয়ে কোনও লরি দেখলেই আটকানো হচ্ছিল।
এদিন এক আন্দোলনকারী বলেন, “বায়ো টয়লেটের জন্য আবেদন করেও অনুমতি পাওয়া যায়নি। পুলিশ কোনওমতেই বায়ো টয়লেট আনতে দিচ্ছিল না। ২ দিন ধরেই বাধা দিচ্ছিল। বায়ো টয়লেট ছাড়া তো আন্দোলন চালানো সম্ভব নয়।” অনশনকারীদের জন্য বায়ো টয়লেটের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে আর এক আন্দোলনকারী বলেন, “অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের শরীর ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। ওদের পক্ষে তো হেঁটে গিয়ে দূরের পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেটে যাওয়া সম্ভব নয়। পুলিশকে তো বিষয়টার গুরুত্ব বুঝতে হবে। মানবিক কারণে এই অনুমতি দেওয়া দরকার।”
এর আগে অভিযোগ ওঠে, লরি বোঝাই বায়ো টয়লেট দেখলেই তা আটক করছে কলকাতা পুলিশ। তিলোত্তমার ন্যায়বিচারের দাবিতে আমরণ অনশনে সামিল জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ সেরকমই। শনিবার রাতে পার্ক স্ট্রিট থানা আটক করেছে বায়ো টয়লেট বোঝাই গাড়ি। রবিবার দিনভর ছোটাছুটি করেও তা উদ্ধার করতে পারেননি জুনিয়র চিকিৎসকেরা। রবিবার সন্ধ্যায় অন্য এক সংস্থার কাছ থেকে বায়ো টয়লেট আনানোর ব্যবস্থা করলে আলিপুরে তা আটকে দেওয়া হয়। অভিযোগ, বায়ো টয়লেট ধর্মতলার অনশন মঞ্চে যাচ্ছে শুনলেই পুলিশ জানিয়ে দিচ্ছে নো এন্ট্রি।
অবশেষে সোমবার ভোরে দুটি বায়ো টয়লেট অনশন মঞ্চের সামনে নিয়ে আসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এখন সেগুলি বসানো নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, বসানো যাবে না, একথা যেমন বলছে না পুলিশ। তেমনই, সাহায্যও করছে না।