Fraud Case: ৩ লক্ষাধিক টাকায় ‘সোনা’ কিনে মাথায় হাত, কলকাতা পুলিশের জালে ৩
ভোপালে জমি খুঁড়তে গিয়ে সোনা মিলেছে এবং সেগুলি বিক্রি করতে চায় বলে জানায় অভিযুক্ত।
কলকাতা: মাটির নীচে থেকে উদ্ধার হয়েছে সোনার পুরোনো সামগ্রী। এমনই গল্প ফেঁদে সোনার নাম করে নকল সামগ্রী বিক্রি করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়েও নিয়েছিল ৩ ব্যক্তি। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না। অবশেষে কলকাতা পুলিশের জালে গ্রেফতার হয়েছে ৩ জনই। উদ্ধার হয়েছে ৩ লক্ষাধিক টাকা। মঙ্গলবার রাতে পুলিশের তরফে ওই ৩ ব্যক্তির গ্রেফতারির খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ধৃত ৩ ব্যক্তির নাম গোবিন্দ রায় ওরফে রাহুল, সুনীল রাই এবং শিবা রাম। এরা এক ব্যক্তির কাছে কয়েক লক্ষ টাকায় সোনার সামগ্রী নাম করে নকল জিনিস বিক্রি করেন বলে অভিযোগ। প্রতারণার অভিযোগেই এদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ধৃতদের কাছ থেকে ৩ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। কলকাতা পুলিশের ওয়াচ সেকশনের হাতেই গ্রেফতার হয়েছে ৩ জন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর কলকাতার এ.জে.সি বসু রোডের উপর পুরসভার গ্যারেজের সামনে গোবিন্দ রায় ওরফে রাহুলের সঙ্গে অভিযোগকারীর পরিচয় হয়। তখনই রাহুল ওই ব্যক্তিকে জানায়, ভোপালে জমি খুঁড়তে গিয়ে সোনা মিলেছে। সেই সোনার জিনিস বিক্রি করতে চায় সে। রাহুলের কথায় বিশ্বাস করে ওই সোনার সামগ্রী কিনতে রাজি হয়ে যান অভিযোগকারী। এরপর গত ৫ ডিসেম্বর বিকেলে তিনি রাহুলকে ৩ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা দিয়ে ওই ভুয়ো সোনার জিনিসগুলি কিনে নেন। পরে খতিয়ে দেখেন সেগুলি আদতে সোনা নয়। কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিনি নকল সামগ্রী কিনেছেন। এরপরই আর দেরি না করে ওই ব্যক্তি তালতলা থানার দ্বারস্থ হন। পরে ওই ঘটনার তদন্তভার নেয় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজি ও তদন্তের পর অবশেষে অভিযুক্ত রাহুল সহ এই ঘটনায় জড়িত তার আরও দুই সাগরেদ সুনীল এবং শিবাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কলকাতা পুলিশের ওয়াচ সেকশনের হাতেই অভিযুক্ত ৩ জন গ্রেফতার হয়েছে এবং তাদের কাছে থেকে নগদ ৩ লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে।