Calcutta High Court: প্রমাণ করতে হবে ভারতীয় না বাংলাদেশি! ১৮ মাসের সন্তান কোলে আদালতের রায়ের অপেক্ষায় সোহিনী

Calcutta High Court: পারিবারিক বিবাদের জেরেই দেশে ফিরেছিলেন বিতান ও তাঁর স্ত্রী সোহিনী।

Calcutta High Court: প্রমাণ করতে হবে ভারতীয় না বাংলাদেশি! ১৮ মাসের সন্তান কোলে আদালতের রায়ের অপেক্ষায় সোহিনী
অলংকরণ- TV9 বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 01, 2023 | 8:55 AM

কলকাতা: মা কোন দেশের নাগরিক? সেটা প্রমাণ করতে হবে আদালতে। যতক্ষণ না প্রমাণ হবে, ততক্ষণ মার্কিন মুলুকে ফেরা বন্ধ। আর সেই জটিলতায় ১৮ মাসের সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। আদালতে স্বস্তি না মিললে বাবার সঙ্গ থেকেও বঞ্চিত হতে পারে সন্তান। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েও এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি মায়ের। কোলে ১৮ মাসের সন্তানকে নিয়েই দিন গুনছেন তিনি। কলকাতার ওই পরিবার কর্মসূত্রে প্রবাসী। পারিবারিক বিবাদের জেরেই কলকাতায় ফিরতে হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু শিশুর বাবা ফিরে যাওয়ার অনুমতি পেলেও, অনুমতি পাননি মা।

বেহালার বাসিন্দা বিতান অধিকারী। কর্মসূত্রে আমেরিকায় থাকেন তিনি। ২০১৭ সালে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় সোহিনী রায়ের সঙ্গে। নির্ঝঞ্ঝাটে সংসার করছিলেন তাঁরা। ১৮ মাস আগে আমেরিকাতেই জন্ম হয় তাঁদের পুত্র সন্তানের। মাস কয়েক আগে বিতান অধিকারী নামে ওই ব্যক্তি জানতে পারেন তাঁর পৈতৃক বাড়ির অংশ দখল করেছেন তাঁরই বড় দাদা। শুধু তাই নয়, বাবা মায়ের ওপরে বড় দাদা ও তাঁর স্ত্রী দাদা অত্যাচার চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। মামলা গড়ায় আদালত অবধি। মামলার জেরে ওই দম্পতি চলে আসেন কলকাতায়।

সেই সময় মামলার অপর পক্ষ প্রশ্ন তোলে বিতানের স্ত্রী সোহিনীর নাগরিকত্ব নিয়ে। তিনি কোন দেশের নাগরিক, তা প্রমাণ করার কথা বলা হয়। নিম্ন আদালত নির্দেশ দেয়, এ দেশের নাগরিক প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত দেশ ছাড়তে পারবেন না তাঁর স্ত্রী সোহিনী।

সোহিনীর আইনজীবী উত্তম চক্রবর্তীর বক্তব্য অনুযায়ী, সোহিনীর জন্ম ভারতে। এদেশের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড সবই আছে। তিনি এখানকার তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় চাকরিও করতেন। কিন্তু তাঁর বাবা জন্মসূত্রে বাংলাদেশের। তাই সোহিনীর ছোটবেলায় তাঁর বাবার তৈরি কোনও একটি নথিতে বাংলাদেশের উল্লেখ আছে। পাসপোর্ট অফিসের সেই নথি নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়েছে।

নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ওই দম্পতি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। তাঁদের বক্তব্য, আধার, ভোটার কার্ড থাকলে নাগরিকত্বের জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজন হয় না। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে ওঠে সেই মামলা। বিচারপতি তাঁদের পাসপোর্ট অফিস থেকে প্রমাণ আনার কথা বলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। বুধবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে।

ওদিকে ছুটি ফুরিয়ে আসছে। কাজের সূত্রে বুধবারই মার্কিন মুলুকে ফিরে যেতে হবে শিশুর বাবাকে। তাই বুধবার কী রায় দেয় আদালত, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন সোহিনী।

আমেরিকায় জন্ম হওয়ায় ১৮ মাসের শিশু এদেশের জল-হাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না। অন্যদিকে, শিশুর ভ্যাকসিন দেওয়াও আটকে রয়েছে বলে জানান আইনজীবী। একরত্তিকে কোলে নিয়েই আপাতত আদালতের দরজায় দৌড়চ্ছেন সোহিনীরা।