Suvendu-Kunal: কোন ‘মডেলে’ FIR ছাড়াই গ্রেফতার হতে পারেন শুভেন্দু? নিজের উদাহরণ টেনে ব্যাখ্যা কুণালের
Suvendu Adhikari: কুণাল ঘোষ বললেন, "রক্ষাকবচের কোথাও লেখা নেই গ্রেফতার করা যাবে না।"
কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে এফআইআর সংক্রান্ত বিষয়ে ইতিমধ্যেই একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে। নতুন এফআইআর করার আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর একক বেঞ্চে একটি মামলা করেছিল রাজ্য। সেই নিয়েও বিচারপতি সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, যথাযথ বেঞ্চে আবেদন করতে হবে। উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নতুন কোনও এফআইআর করার আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এবার এই গোটা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। নিজের উদাহরণ টেনে ব্যাখ্যা দিলেন, কীভাবে এফআইআর না করেও গ্রেফতার করা যায়।
কুণাল ঘোষ বললেন, “হাইকোর্ট বলেছে শুভেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচ বহাল আপাতত। খুব স্পষ্টভাবে বলি, এটা একেবারে আইনের বিষয়। রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবীরা এই বিষয়ে যথাযোগ্য প্ল্যাটফর্ম জানাবেন। আমাদের পূর্ণ আস্থা রেখে। আদালতের পূর্ণ অধিকার আছে। কিন্তু রক্ষাকবচের কোথাও লেখা নেই গ্রেফতার করা যাবে না। যে নির্দেশনামা রয়েছে, তাতে উল্লেখ রয়েছে, এফআইআরগুলির উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া এবং আগামী দিনে আদালতের অনুমতি ছাড়া এফআইআর করা যাবে না।”
তাহলে কীভাবে গ্রেফতার করা যেতে পারে শুভেন্দুকে? কি ব্যাখ্যা দিচ্ছেন কুণাল ঘোষ? তৃণমূল মুখপাত্র বলছেন, “আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, গ্রেফতারি এড়ানোর কোনও রক্ষাকবচ শুভেন্দু অধিকারীর নেই। পুলিশ যদি মনে করে, শুভেন্দু অধিকারীকে এখনই আসানসোল মামলায় গ্রেফতার করতে পারে। তারপর তিনি জামিন পাবেন, কি পাবেন না… সেটি পরের বিষয়।” কুণালের ব্যাখ্যা, কোনও মামলায় জেরার সময় অন্য অভিযুক্তরা যদি কারও ভূমিকার কথা বলে, তাহলে এফআইআরে নাম না থাকলেও তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬১ এবং ১৬৪-এর আওতায় কোনও অভিযুক্ত যদি কোনও ব্যক্তির নাম বলে, তাহলে ওই ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা যায়।
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক বললেন, “এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে শুভেন্দুর যে কোনও মামলায় যদি তাঁকে সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠানো হয়… সেক্ষেত্রে তিনি সহযোগিতা না করেন, তাঁকে গ্রেফতার করা যেতে পারে। দ্বিতীয়ত যদি পুলিশ অপরাধের গুরুত্ব বিচার করে মনে করে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা উচিত, তাহলে অন্য কোনও অভিযুক্তর কথার ভিত্তিতে ১৬১ বা ১৬৪ ধারার আওতায় গ্রেফতার করা যেতে পারে।” এই প্রসঙ্গে নিজের অতীতের কথাও তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ। বললেন, “অর্ধেক মামলায় আমার নামে এফআইআর ছিল না। যারা গ্রেফতার হয়েছিল, তাদের মুখ দিয়ে আমার নাম বলিয়ে আমায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাহলে শুভেন্দু অধিকারীকে কেন করা হবে না?”