Kunal Ghosh: ‘গ্রুপ গ্রুপ করে লোক ঢোকানোর প্ল্যান আছে…’ সোমবার চাকরিহারাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে বড় ষড়যন্ত্রের আভাস কুণালের
Kunal Ghosh: কুণাল বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যোগ্যদের চাকরি যে পদ্ধতিতে শেষ করা হয়েছে, তাতে দ্বিমত পোষণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যে অযোগ্য তাঁর পাশে দল দাঁড়াবে না। মেলাবেন না।, অযোগ্যদের বলা হয়েছে টাকা ফেরত দিতে।

কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এক লহমায় চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার। মুখ্যমন্ত্রী ৭ তারিখ, সোমবার একটি বৈঠক ডেকেছেন। সেই বৈঠক থেকেই কোনও একটি আশার পথ যোগ্য চাকরিহারাদের জন্য বার করার চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কিন্তু তার অভিযোগ, জট খোলার এই বৈঠকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা চলছে।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, “জট খোলার সভায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে। ছোট ছোট গ্রুপ করে সেই চেষ্টা হচ্ছে। সিপিআইএম বিজেপি জট খুলতে আসবে না। মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখুন। বিশ্বাস রাখুন। জট খোলার চেষ্টা করছেন।” বিজেপি-তৃণমূলকে নিশানা করে কুণাল বলেন, “যাঁরা প্ররোচনা দিচ্ছেন, তাঁদের প্রত্যাখ্যান করুন। আপনার মুখে হাসি ফোটানোর কাজ মুখ্যমন্ত্রী করবেন।” পাশাপাশি চাকরিহারাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যদি ভিতর থেকে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনি আইডেন্টিফায়েড হয়ে যাবেন। করবেন না। প্রশাসনের নজর থাকছে। ”
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরিহারাদের উদ্দেশে সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কিছু বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। কুণাল বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যোগ্যদের চাকরি যে পদ্ধতিতে শেষ করা হয়েছে, তাতে দ্বিমত পোষণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যে অযোগ্য তাঁর পাশে দল দাঁড়াবে না। মেলাবেন না।, অযোগ্যদের বলা হয়েছে টাকা ফেরত দিতে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর থেকেই বিজেপি-সিপিএম এই নিয়োগে কমিশন, রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে। কেন যোগ্য অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হল না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে কুণাল প্রথম থেকেই দাবি করছেন, এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিরোধীরা তা করতে দেবেন না বলেও অভিযোগ করলেন তিনি। তাঁর কথায়, “বিরোধীদের মদতে প্ররোচনা দিয়ে কালকের সভায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। বিরোধীরা চান না মুখ্যমন্ত্রীদের কথা সবাই শুনুক।একাধিক সূত্রে খবর এসেছে, নানা প্রলোভন দেখিয়ে গ্রুপ গ্রুপ করে লোক ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী কী বলতে চান, তা শুনতে দেবেন না।”





