Recruitment Scam Case: ‘রাস্তা না বের করলে ভোটে কাউকে লড়তে দেব না’, সব দলকে হুঁশিয়ারি চাকরিহারাদের
Recruitment Scam: শিক্ষক মেহেবুব মণ্ডল: সুপ্রিম কোর্টের জাজমেন্ট আমাদের কাছে মৃত্যুর আলেক্ষ। হাইকোর্টে আমাদের সঙ্গে অবিচার হয়। তারপর সুপ্রিম কোর্টে যাই। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় স্থগিতাদেশ দেন। উনি বুঝেছিলেন এই প্যানেলে অনেক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী আছেন যাঁরা যোগ্য। আর অনেকেই অযোগ্য রয়েছেন।

কলকাতা: সারা রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে রাম-নবমী। বিজেপি-তৃণমূল নিজে-নিজের মতো করে রাস্তায় নেমেছে রাম-নবমীর শোভাযাত্রায়। রাজ্যজুড়ে যখন রাম-নবমী পালিত হচ্ছে, সেই সময় শহিদ মিনারে জমায়েত করলেন চাকরিহারা। সোমবারই চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে আজ তাঁরা সাংবাদিক বৈঠক করলেন।
এ দিন চাকরিহারারা কী বললেন?
চাকরিহারা মেহেবুব মণ্ডল: সুপ্রিম কোর্টের জাজমেন্ট আমাদের কাছে মৃত্যুর আলেক্ষ। হাইকোর্টে আমাদের সঙ্গে অবিচার হয়। তারপর সুপ্রিম কোর্টে যাই। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় স্থগিতাদেশ দেন। উনি বুঝেছিলেন এই প্যানেলে অনেক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী আছেন যাঁরা যোগ্য। আর অনেকেই অযোগ্য রয়েছেন।
চাকরিহারা মেহেবুব মণ্ডল: কিন্তু গতদিনের যে বিচারে দেখলাম, এই সব কিছু বাদ দিয়ে আমাদের মৃত্যুর আলেক্ষ লিখে দিল। আমরাও কোর্টে বলেছিলাম যাঁরা অবৈধ তাঁদের বাদ দিয়ে দিন। বিকাশবাবু বলতে চেয়েছিলেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক নয়। প্রধান বিচারপতি থামিয়ে দিয়েছিলেন। এই বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন না। নিয়োগ প্রক্রিয়া ঠিক আছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধান বিচারপতি আলোচনা করতে দেননি। অথারিটিকেও বলতে দেওয়া হল না। আমাদেরও বলতে দেওয়া হল না। সেই সব বলতে না দিয়ে, এমনই বিষয়ের উপর জাজমেন্ট দিলেন যা আলোচনাই হল না কোর্টে।
চাকরিহারা মেহেবুব মণ্ডল: তারপর কী করলেন? ২৬ হাজারের প্যানেল ধ্বংস করে দিলেন। এটা জাজমেন্ট নয়। এটা প্রত্যাখান করছি। এই রায় আমরা মানছি না। কেন মানব আমরা? দীর্ঘদিন ধরে একটা মিথ সমাজে প্রচলিত যে কোর্টের বিরুদ্ধে বলা যাবে না, আইনের বিরুদ্ধে বলা যাবে না। কোন আইন? যে আইন তৈরি হয়েছিল মানুষকে বাঁচাতে, সেই আইন যদি ধ্বংস করে দেয় আমরা মানব না।
চাকরিহারা মেহেবুব মণ্ডল: এই জাজমেন্টের পর রাজনৈতিক দলগুলি একই সঙ্গে রাজ্য সরকারও আমাদের লাসের উপর মরা কান্না কাঁদছে। ওই দিন একটা প্রেস বিবৃতি দিল। আমাদের ডেকে বলল ইন্ডের স্টেডিয়ামে আসুন। আমরা অবশ্যই যাব। আমাদের মৃত্যুর জন্য রাজ্য সরকার কম দায়ী নয়। দুর্নীতি তো এই প্রতিষ্ঠান থেকে হয়েছে। তাই রাজ্য সরকার আমাদের কীভাবে বাঁচাবেন সেটা তারাই বুঝবে।
চাকরিহারা মেহেবুব মণ্ডল:দেখছি বিরোধী রাজনৈতিক দলের দিলীপবাবু এই রায় নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। আর বিজেপির সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলছে বাঁচানোর রাস্তা আছে। সকলেই দেখছি বলছে অন্যায় হয়েছে। তাহলে সুপ্রিম কোর্টের জাজমেন্ট ঠিক হয়নি।
চাকরিহারা মেহেবুব মণ্ডল: মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হলে একবছর-দু’বছর-ছ’বছর ধরে বিশ্লেষণ করে। আর এই মৃত্যুদণ্ডে তো অবজারবেশনও হল না। আরও অনেক তথ্য প্রমাণ ঘেঁটে দেখা যেতে পারত। আমরা অবশ্যই রিভিউতে যাব। সরকার থেকে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে বলছি আপনারা রাস্তা বের করে না দিলে বিধানসভা নির্বাচনে কাউকে লড়তে দেব না। আমাদের লাসের উপর দিয়ে লড়তে হবে। ফাঁকা কথার কারসাজি আর নয়। নিজেদের মারতে রাজি আছি। কারণ আমরা মরে গিয়েছি। আর এসএসসির চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য জামিন পেলেন। আর আমাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল।





