Bagtui Case: চোখের সামনে ভাদুকে খুন হতে দেখেছিলেন, এরপরই বগটুই গ্রামের দিকে যেতে দেখা গিয়েছিল লালন শেখকে
Bagtui Case: ঘটনার ঠিক ২০ মিনিট পর দেখা যায়, লোকজন নিয়ে বগটুই গ্রামের দিকে যাচ্ছেন লালন শেখ। তারপরই গ্রাম থেকে পালাতে শুরু করেন ভাদু শেখের অনুগামীরা।
বীরভূম : চলতি বছরের ২১ মার্চ রাস্তার ধারের চায়ের দোকানে বসেছিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপ প্রধান ভাদু শেখ। এরপর আচমকাই কেউ বা কারা তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকা। তবে সেই রাতে বগটুই যে ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল, সাম্প্রতিককালে তেমন নজির কমই আছে। ভাদু খুনের জেরে একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। একে একে ১০ জনের মৃত্যু হয়। ধারাল অস্ত্রের কোপ দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। এরপর যখন পুরোদমে ধরপাকড় শুরু হয়, তখন অনেককে ধরা গেলেও বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন লালন শেখ, ভাদু খুনের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী। আর সোমবার সেই লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে।
সেদিন সন্ধ্যার যে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছিল, তাতে দেখা যায় পুলিশ ক্যাম্প থেকে মাত্র ৬০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন ভাদু শেখ। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা মারা হয়। ঘটনাস্থলে লালন শেখ ছিলেন, ফুটেজে দেখা যায় তাঁকে। এরপর ভাদুর দেহ যখন স্ট্রেচারে করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখন সেখানেও ছিলেন লালন শেখ। আর ঘটনার ঠিক ২০ মিনিট পর দেখা যায়, লোকজন নিয়ে বগটুই গ্রামের দিকে যাচ্ছেন লালন শেখ। তারপরই গ্রাম থেকে পালাতে শুরু করেন ভাদু শেখের অনুগামীরা। সেই রাতে গ্রামে কিছু ঘটতে চলেছে বলেই কি পালাচ্ছিলেন তাঁরা? সেই প্রশ্নও ওঠে।
এই পর্যন্ত লালনের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু রাত পোহাতেই উধাও লালন শেখ। গ্রামে কোথাও পাওয়া যায়নি তাঁকে। দিনের পর দিন তাঁর খোঁজ চলে। সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পর থেকে তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। প্রায় ৯ মাস পর গত ৩ ডিসেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ঝাড়খণ্ড থেকে। এবার লালন শেখের ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’তে বিতর্ক বাড়ল। ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হওয়ার পর সিবিআই-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে লালনের পরিবার। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোরও।