Tocilizumab Scandal: ১০ লক্ষ টাকার জীবনদায়ী ওষুধ উধাও! নির্বিকার নির্মল বলছেন, ‘মাইনে থেকে টাকা তো কাটছে’

Tocilizumab: ১০ লক্ষ টাকার টসিলিজুমাব, যে ওষুধ প্রাণদায়ী, যার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতে হয় সাধারণ মানুষকে, সেই ওষুধ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হেফাজত থেকে উধাও হয়ে যায়।

Tocilizumab Scandal: ১০ লক্ষ টাকার জীবনদায়ী ওষুধ উধাও! নির্বিকার নির্মল বলছেন, 'মাইনে থেকে টাকা তো কাটছে'
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের টসিলিজুমাব উধাও। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 26, 2021 | 7:11 PM

কলকাতা: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের টসিলিজুমাব কোথায়? টসিলিজুমাব-কাণ্ডে (Tocilizumab) বিরোধীদের এই প্রশ্নের উত্তরে এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের চিকিৎসক-নেতা নির্মল মাজি। তবে মুখ খুলে অদ্ভূত এক তথ্য তুলে ধরলেন তিনি। নির্মল মাজির দাবি, এই কাণ্ডে যে দু’জনের নাম জড়িয়েছে, তাঁদের বেতন থেকে ওই টাকা কেটে নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। অর্থাৎ জলে যাওয়া টাকা স্বাস্থ্য দফতরের হাতে চলে এসেছে। কিন্তু টাকা হাতে এলেও, জীবনদায়ী সেই ওষুধের যে কিনারা হল না! তা নিয়ে অবশ্য কিছু বলতে চাননি নির্মল মাজি।

এ প্রসঙ্গে নির্মল মাজি বলেন, “দোষীরা তো শাস্তি পেয়েছে। একেবারে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, শীতলকুচিতে পাঠানো হয়েছে। ছ’মাস বেতন বন্ধ। এক বছরের মাইনে কেটে নিয়ে সেই টাকার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে।” কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, শুধুমাত্র টাকা কেটে নিয়েই কী সব দোষ মাফ? এর কি আইনি কোনও বিচার হবে না?

১০ লক্ষ টাকার টসিলিজুমাব, যে ওষুধ প্রাণদায়ী, যার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতে হয় সাধারণ মানুষকে, সেই ওষুধ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হেফাজত থেকে উধাও হয়ে যায়। এই ঘটনায় নাম জড়ায় দুই অভিযুক্ত চিকিৎসক ও সিসিইউ ইনচার্জের। প্রশ্ন ছিল, এই চিকিৎসাকর্মীদের নিয়ে কী ভাবছে কর্তৃপক্ষ এবং টসিলিজুমাবগুলি কোথায় গেল? সেই প্রশ্নের উত্তরেই এদিন নির্মল মাজি জানালেন, মেডিক্যাল অফিসার দেবাংশী সাহা এবং সিস্টার ইন চার্জের বেতন কেটে সেই টাকা তুলেছে স্বাস্থ্য দফতর। চিকিৎসক সংগঠনগুলির প্রশ্ন এখানেই! এটা কি কোনও পন্থা?

মেডিক্যাল কলেজ থেকে জীবনদায়ী ওষুধ চুরির ঘটনা প্রথম প্রকাশ্যে এনেছিল টিভি নাইন বাংলা। প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ওষুধ কেলেঙ্কারি ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। একটি ফোনালাপের খেই ধরেই নতুন এই কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের। প্যাথলজি বিভাগের স্পেসমেন এক্সামিনেশন ফর্মে সঙ্কটজনক করোনা রোগীর চিকিৎসায় টসিলিজুমাবের রিক্যুইজিশন। এক সঙ্গে ২৬ টি টসিলিজুমাব বেহাত হয়ে যায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে। যা ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক।

এরপরই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। কমিটি গড়ে শুরু হয় তদন্ত। অভিযুক্ত চিকিৎসক দেবাংশী সাহাকে কোচবিহারের শীতলকুচিতে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আওতাধীন জটামারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়। অন্যদিকে অভিযুক্ত সিসিইউ-এর সিস্টার ইনচার্জ সুনীতা ভৌমিককে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদারের কথায়, “খুব বড় হাত না থাকলে তো একজন ডাক্তার বা নার্সের পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এটা ধামাচাপা দেওয়ার কথা ছাড়া কিছুই নয়। যদি ওরা সত্যি দোষী হতো তা হলে কী সাসপেন্ড হতো না। ট্রান্সফারের মতো লোক দেখানো শাস্তি হতো? এসব শাক দিয়ে মাছ ঢাকা। নিজেরে দুর্নীতি ঢাকা। আসলে সর্ষের মধ্যে ভূত। যারা করছে তারাই এর মধ্যে যুক্ত। বাংলার সমস্ত মানুষই তা বোঝে।”

আরও পড়ুন: Adir Chowdhury: ‘দিদির মুখে গ্যাস ভরছেন ঝুলন দাদু’, পিকে-কে তীব্র কটাক্ষ অধীরের