কীভাবে হবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়ন? জানাল পর্ষদ
কোনও পরীক্ষার্থী যদি এই মূল্যায়নে অসন্তুষ্ট হন, তা হলে তাদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেই পরীক্ষায় বসতে পারবেন তাঁরা বলে জানাল পর্ষদ।
কলকাতা: করোনার কারণে এবার মুলতুবি রাখা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। পরিবর্তে মূল্যায়ন করে পরীক্ষার্থীদের ফল ঘোষণা করবে পর্ষদ। কিন্তু কীভাবে হবে সেই মূল্যায়ন? সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন পর্ষদের কর্তারা।
শুক্রবার পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হল, ৫০-৫০ অনুপাতে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে। অর্থাৎ, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য নবম শ্রেণির মার্কশিট এবং দশম শ্রেণির ইন্টারনাল পরীক্ষার ফল, এই দুই পরীক্ষার ফলাফলকে গুরুত্ব দিয়ে মূল্যায়ন করা হবে। নবম শ্রেণির পরীক্ষার ফল থেকে ৫০ এবং দশম শ্রেণির ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট থেকে ৫০ নম্বর নিয়ে মূল্যায়ন করা হবে বলে জানাল পর্ষদ।
তবে কোনও পরীক্ষার্থী যদি এই মূল্যায়নে অসন্তুষ্ট হন, তা হলে তাদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেই পরীক্ষায় বসতে পারবেন তাঁরা বলে জানাল পর্ষদ।
আর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের মাধ্যমিকে যে চার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি নম্বর তাতে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বরের উপর ৪০ শতাংশ এবং ২০২০-র একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় (থিওরি) প্রাপ্ত নম্বরের উপর ৬০ শতাংশ। এই ফর্মুলায় তাঁদের মূল্যায়ন হবে। তাঁরাও এই মূল্যায়নে সন্তুষ্ট না হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে লিখিত পরীক্ষা দিতে পারবেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরই চূড়ান্ত হিসাবে বিবেচিত হবে। তখন আর মূল্যায়নের নম্বর কার্যকর হবে না।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার বিষয়টি স্থির করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। পরীক্ষা নিয়ে আমজনতার মতও চাওয়া হয়। কমিটির রিপোর্ট এবং অভিভাবকদের মতামতের ভিত্তিতে এবছর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়। তার পর মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফল প্রকাশ করা হবে ঘোষণা হয়। সেই অনুযায়ী এদিন সিদ্ধান্ত জানাল পর্ষদ।