মাধ্যমিকের মূল্যায়নে বিভ্রাট, নবমের নম্বর জমা দিয়ে একাধিক অভিযোগ স্কুলগুলির

Madhyamik 2021: পর্ষদের ইউনিক ওয়েবসাইটে স্কুলগুলিকে পরীক্ষার্থীদের নবম শ্রেণির নম্বর জমা দেওয়ার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল ২১ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত।

মাধ্যমিকের মূল্যায়নে বিভ্রাট, নবমের নম্বর জমা দিয়ে একাধিক অভিযোগ স্কুলগুলির
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 27, 2021 | 10:02 PM

কলকাতা: মাধ্যমিকের মূল্যায়নে বিভ্রাট। প্রথম দফায় যে নম্বর জমা পড়েছে তাতে একাধিক ভুল রয়েছে বলে অভিযোগ। পর্ষদ সূত্রে খবর, একদিনের মধ্যে ফের নম্বর জমা দিতে বলা হল ৫৯৯টি স্কুলকে। যদিও একদিনের মধ্যে এই ভুল শুধরে নেওয়া সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

মাধ্যমিকের মূল্যায়নে নবমের নম্বর জমা দিতে হবে স্কুলগুলিকে। পর্ষদের ইউনিক ওয়েবসাইটে স্কুলগুলিকে পরীক্ষার্থীদের নবম শ্রেণির নম্বর জমা দেওয়ার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল ২১ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত। তাতে দেখা যাচ্ছে, ৯ লক্ষ ৭২ হাজার পরীক্ষার্থীর নম্বর জমা পড়েছে। এখনও ২৪ হাজার পরীক্ষার্থীর নম্বর জমা পড়েনি। এর মধ্যে কিছু স্কুলে নম্বর ভুল আপলোড, কোথাও অসম্পূর্ণ নম্বর জমা পড়েছে। কোনও কোনও স্কুল আবার ভুল হয়েছে স্বীকার করে নিয়ে সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছে। এই প্রেক্ষিতে, পর্ষদ নোটিস দিয়ে আরও দু’দিন পোর্টাল খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। রবিবার সকাল ১১টা থেকে সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত সেই সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। এই ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভুল শুধরে নতুন করে নম্বর জমা দিতে বলা হয়েছে। ৫৯৯টি স্কুল তালিকায় রয়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন নবমের নম্বর জমা দেওয়ার জন্য প্রথমে চারদিন সময় দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষকদের অনেকেরই দাবি, সময় কম ছিল। পর্ষদের তরফে পাঠানো নির্দেশিকাতেও বিষয়টি নিয়ে সবটা স্পষ্ট করা হয়নি। কেউ কেউ আবার বলছেন, সময় বাঁচাতে সিংহভাগ কাজ স্কুলের উপর চাপিয়েছে পর্ষদ। নির্দেশিকায় স্পষ্ট না করা এবং নম্বরে গরমিলের তত্ত্ব তুলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়ে দিয়েছে বলেই মনে করছে সরকারি স্কুল শিক্ষকদের সংগঠন।

আরও পড়ুন: বড় খবর! ভরসন্ধ্যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ঢাকা, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, “যে সময়টুকু দেওয়া হয়েছিল সে সময়ের মধ্যে কিন্তু সকলেই আপলোড করেছিলেন নম্বর। কিন্তু তার পরও কেন সমস্যাটা তৈরি হল? এটা একটা অদ্ভূত বাতাবরণ তৈরি হয়েছে সমস্ত স্তরে। একেবারে হুমকির স্বরে বলা হচ্ছে ‘আমরা নজর রাখছি, নম্বর বাড়ানো যাবে না, নম্বর এদিক ওদিক করা যাবে না’। কোথাও একটা ধরে নেওয়া হচ্ছে মাষ্টারমশাই, প্রধানশিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের নম্বর ট্যাম্পারিং করবে। এই ভাবনাটা অত্যন্ত ক্ষতিকর। যে চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়েছে, তাতে এন্ট্রি করতে গিয়ে কিছু তথ্যগত ভুলভ্রান্তি হয়েছে।” এরইমধ্যে আবেদন জানিয়ে পর্ষদের কাছ থেকে সময় পাওয়া গেলেও তা মাত্র ২৪ ঘণ্টা। চারদিনের ভুল ২৪ ঘণ্টায় শুধরে নেওয়া আদৌ কি সহজ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।