দিনে দুপুরে মহিলার হাত ধরে টান, এরপর পাড়ার কয়েক শো পুরুষ-মহিলা পথে নেমে যা করলেন…
Maheshtala: গত দেড় বছরে লকডাউন, করোনার কারণে বহু মানুষ তাঁদের আয়ের পথ হারিয়েছেন। এর জেরে অনেকের মধ্যেই বেড়েছে অপরাধ প্রবণতা।
কলকাতা: এলাকায় মদ খেয়ে মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণের সঙ্গে বাড়ছিল সমাজ বিরোধী কার্যকলাপও। পুলিশকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর ময়দানে নামেন এলাকার লোকজন। পাড়ার পুরুষ ও মহিলারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দেন মদ-গাঁজার ঠেক। রবিবার এই ঘটনা ঘিরে তুলকালাম বাঁধে মহেশতলায়।
মহেশতলার ১১ নম্বর ওয়ার্ড। অভিযোগ, দিনের পর দিন এলাকায় মদ, গাঁজার ঠেকের বাড় বাড়ন্ত হচ্ছে। দিনভর জুয়া, সাট্টার আসর বসছে। রাস্তা দিয়ে পাড়ার মেয়ে, বউরা যেতে পারেন না। নানারকম কুৎসিত কথাবার্তা ভেসে আসে। এরইমধ্যে শনিবার এক মহিলার উপর আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর টাকার ব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে পালায় একজন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই ঠেকবাজির কারণেই এলাকাবাসীর নিরাপত্তা তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। বার বার পুলিশকে জানিয়েও কাজ হয়নি। এরপরই রবিবার কয়েক শো মহিলা ও পুরুষরা এক যোগে ঠেকগুলিতে ভাঙচুর চালায়। আগুন লাগিয়ে দেয় ঠেকগুলিতে। এলাকার এক মহিলার কথায়, “আমাদের পাড়ার মেয়ের সঙ্গে যে অন্যায় শনিবার হয়েছে সেটার প্রতিবাদ করতে চাই। এলাকায় কোনও জুয়ার ঠেক, সাট্টার দোকান আমরা চলতে দেব না। এই কারণে আমাদের অশান্তি কম নয়।”
গত দেড় বছরে লকডাউন, করোনার কারণে বহু মানুষ তাঁদের আয়ের পথ হারিয়েছেন। এর জেরে অনেকের মধ্যেই বেড়েছে অপরাধ প্রবণতা। বিভিন্ন জায়গায় পাড়ার মধ্যে গজিয়ে উঠেছে মদের ঠেক, সাট্টার আসর। এর জেরে এলাকার লোকজন দিনের বেলাতেও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। শনিবার মহেশতলাতেও এরকমই এক ঘটনা ঘটে যায়। রবিবার পরিস্থিতি ধুন্ধুমার হয়ে উঠলে সেখানে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এর জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে বড় ঘোষণা! ইন্টারভিউয়ের দিনক্ষণ, স্থান জানাল কমিশন