পিকে-অভিষেকদের নিয়ে কালীঘাটে বৈঠক মমতার, নজরে কি একুশের গেমপ্ল্যান!
এক ছাদের তলায় হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বৈঠকের গুরুত্ব অপরিসীম
কলকাতা: দলে দ্বন্দ্ব বাঁধ ভাঙার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এক হেভিওয়েট মন্ত্রী রাজনীতি থেকে ‘সাময়িক অবসর’ নিয়েছেন। ঠিক সেই সময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কালীঘাটের বাড়িতে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বসল শীর্ষ দলীয় নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকে তৃণমূল প্রথম সারির প্রায় সকলেই হাজির রয়েছেন। মমতার ‘স্বল্প সময়ের রাজনৈতিক সহযোগী’ প্রশান্ত কিশোরও উপস্থিত রয়েছেন এই হেভিওয়েট মিটিংয়ে।
ওয়ার্কিং কমিটির এই বৈঠকে রয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কাকলি ঘোষ দস্তিদারের মতো প্রথম সারির নেতৃত্ববৃন্দ। তবে বৈঠকে ‘উপরতলার’ নেতা-মন্ত্রী ও ভোটকুশলীর উপস্থিতি স্পষ্টই ইঙ্গিত দিচ্ছে, রাশভারী কোনও বিষয় নিয়েই আলোচনা হতে চলেছে।
তৃণমূল সূত্রে দাবি, প্রতি শুক্রবারের মতোই রুটিন মাফিক এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। তবে এক ছাদের তলায় হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বৈঠকের গুরুত্ব অপরিসীম। এই বৈঠক থেকেই ভোটের রণকৌশল স্থির হতে পারে। যে কারণে রাজ্যের রাজনীতির কারবারিদের নজর আটকে রয়েছে এই বৈঠকের দিকে।
আরও পড়ুন: ২০০৯ প্রাইমারিতেও ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার, প্যানেল প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যেই নিয়োগের নির্দেশ
ঠিক একই ভাবে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরও নিজের বাড়িতে বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা। সেই বৈঠকেও প্রশান্ত কিশোরের পাশাপাশি অভিষেক ও শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। গত সপ্তাহেই আবার আপাতত রাজনীতির পাট চুকিয়ে দেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। যদিও দলের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্যই তিনি করেননি। এবারও ফের সেই কালীঘাটের বাড়িতেই বৈঠক ডাকলেন মমতা। রাজনৈতিকভাবে দুই বৈঠক ডাকার এই সাদৃশ্যও নজর কেড়েছে পর্যবেক্ষকদের।
আরও পড়ুন: কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সর্বদলীয় প্রস্তাব, বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন