Mamata Banerjee in Assembly: মমতার মুখে ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’, এজেন্সির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মমতা

Mamata Banerjee in Assembly: সোমবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়েছে বিধানসভায়। বক্তব্য পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

Mamata Banerjee in Assembly: মমতার মুখে 'ডোন্ট টাচ মাই বডি', এজেন্সির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2022 | 5:57 PM

কলকাতা : শাসক দলের আনা নিন্দা প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে পারদ চড়ল বিধানসভায়। পার্থ, অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর এই প্রথমবার মুখোমুখি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে বিধানসভায় বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে এ দিন একাধিকবার নাম না করে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেন মমতা। আবার বক্তব্য শেষে দেখা যায় কার্যত নজিরবিহীন সৌজন্যের ছবি। একে অপরের দিকে হাত জড় করে নমস্কার করেন শুভেন্দু ও মমতা।

এ দিন কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা। বিভিন্ন সময় শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত আসলে বিজেপির ষড়যন্ত্র। এ দিন সেই সুরই শোনা গিয়েছে মমতার গলায়। কেন্দ্র তথা গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে গিয়ে এ দিন বিরোধী দলনেতাকেও বারবার কটাক্ষ করেন মমতা।

শুভেন্দুর ‘ডোন্ট টাচ’ মন্তব্য যখন রাজ্য রাজনীতির অন্যতম চর্চার বিষয়, তখন মমতার মুখেও এ দিন শোনা গেল ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’। বিধানসভায় কেন্দ্রীয় সংস্থার উদ্দেশে এমন মন্তব্য করেছেন মমতা। নাম না করে শুভেন্দুকে ‘স্বচ্ছ বাবু’ বলেও কটাক্ষ করেছেন মমতা। উল্লেখ্য, বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন মহিলা পুলিশ যখন শুভেন্দুকে আটক করতে যায়, তখন তিনি বলেছিলেন, ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’।

শুধু শুভেন্দু নয়, মমতার নিশানায় ছিল বঙ্গ বিজেপি। তিনি দাবি করেছেন, ইডি বা সিবিআই-কে যদি রাজ্য থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে রাজ্য দেখিয়ে দেবে বিজেপি নেতাদের কার কাছে কত সম্পত্তি রয়েছে। বাংলার বিজেপি নেতারাই যে এই ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছেন, তেমনটাই দাবি মমতার।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শেষে দেখা গেল সৌজন্যের ছবি। মমতা নিজের আসন ছেড়ে দলীয় বিধায়কদের দিকে এগিয়ে যান। সেই সময় শুভেন্দুর বেঞ্চের কাছ থেকে যাওয়ার সময় একে অপরকে নমস্কার করেন মমতা ও শুভেন্দু। রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২০ সালের পর এমন সৌজন্য আর দেখা যায়নি।