Mamata Banerjee: ‘আত্মম্ভরিতার প্রদর্শন সরান’, শান্তিনিকেতনের ফলক নিয়ে কেন্দ্রকে বার্তা মমতার

Santinikatan: কী নিয়ে বিতর্ক? সম্প্রতি ইউনেস্কো শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা দিয়েছে। এই শান্তিনিকেতনের প্রতিটি কোণায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোঁয়া। কবিগুরুর সাধের আশ্রম বিশ্বভারতীর খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। রবীন্দ্রনাথ ছাড়া শান্তিনিকেতন অসম্পূর্ণ, সম্পূর্ণ নয় কোনও আয়োজনই।

Mamata Banerjee: 'আত্মম্ভরিতার প্রদর্শন সরান', শান্তিনিকেতনের ফলক নিয়ে কেন্দ্রকে বার্তা মমতার
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2023 | 8:28 PM

কলকাতা: এবার শান্তিনিকেতনের ফলক বিতর্কে কেন্দ্রকে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, বিতর্কিত ওই ফলক শান্তিনিকেতন থেকে যেন সরিয়ে নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী ওই ফলকে ‘নার্সিসিস্টিক ডিসপ্লে’ বলেও মন্তব্য করেন। অর্থাৎ আত্মপ্রিয়তার চরম উদাহরণ। তাঁর বার্তা, ওই ফলক সরিয়ে গুরুদেবের প্রতি যেন যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করা হয়।

কী নিয়ে বিতর্ক? সম্প্রতি ইউনেস্কো শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা দিয়েছে। এই শান্তিনিকেতনের প্রতিটি কোণায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোঁয়া। কবিগুরুর সাধের আশ্রম বিশ্বভারতীর খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। রবীন্দ্রনাথ ছাড়া শান্তিনিকেতন অসম্পূর্ণ, সম্পূর্ণ নয় কোনও আয়োজনই।

অথচ ইউনেস্কো শান্তিনিকেতনকে হেরিটেজ ঘোষণার পর বিশ্বভারতীর বিভিন্ন জায়গায় সাদা ফলক বসানো হয়েছে। সেখানে ইংরাজিতে যা লেখা হয়েছে, তার তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ইউনেস্কো শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করেছে। নিচে লেখা আচার্য নরেন্দ্র মোদী ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। সেই শ্বেতশুভ্র ফলকে কোথাও নেই গুরুদেবের নাম। রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথকেই ব্রাত্য করে দিয়েছে কারা যেন!

এ নিয়ে সরব প্রাক্তনী, বর্তমানরা। সরব এ রাজ্যের সরকারও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথের ছবি বুকে নিয়ে আন্দোলনে নামার ডাক দেন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস উপাচার্যের কাছে জানতে চান, কীভাবে ফলক থেকে রবীন্দ্রনাথের নাম বাদ পড়ল?

এরইমধ্যে শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতন-বিশ্বভারতী তৈরি করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সেখানে যে ফলক রেখেছে সেখানে উপাচার্যের নাম থাকলেও নেই গুরুদেবের নাম। এটা গুরুদেবকে অসম্মান করা। কেন্দ্র সরকারকে পরামর্শ আত্মম্ভরিতার এই প্রদর্শন সরানো হোক। গোটা দেশ গুরুদেবকে যে সম্মান দেয়, তা দেওয়া হোক।’

এ নিয়ে প্রথম থেকেই সরব বিজেপি নেতা তথা বিশ্বভারতীর প্রাক্তন অধ্যাপক অনুপম হাজরা। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সমালোচনা করেছেন তিনি। শনিবারও ফেসবুকে অনুপম লেখেন, উপাচার্য তাঁর পদ বাঁচাতে এসব করছেন। আসলে বিজেপির ক্ষতি করতে চাইছেন। অনুপমের কথায়, ‘বিশ্বভারতীর ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম অবধি রাখেননি। অতিরিক্ত তৈল মর্দন করেও সফল হবেন না।’