Body Recover: সরকারি হোমে কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ, সন্দেহ ঠেকছে পরিবারের
RG Kar: পরিবারের লোকজনের দাবি, তাঁদের মেয়ে খুবই রেগে যেত। এর আগে একবার গলা কাটার চেষ্টা পর্যন্ত করেছিল। কাউন্সেলিং করানো হয়েছিল বলেও দাবি পরিবারের। এদিকে দুই কিশোরী বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর যখন উদ্ধার করে শিশু কল্যাণ সমিতিতে আনা হয়, তারা হোমে পাঠানোর কথা বলে।
কলকাতা: সরকারি হোমে কিশোরীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তেজনা ছড়ায় আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে। অভিযোগ, অগস্ট মাসে বারাসতের বাসিন্দা বছর ১৫-১৬-এর এক কিশোরী আরেক বান্ধবীর সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই নিখোঁজ ডায়েরির ভিত্তিতে পুলিশ দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এরপরই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার শিশু কল্যাণ সমিতিতে হাজির করা হয় তাদের।
পরিবারের লোকজনের দাবি, তাঁদের মেয়ে খুবই রেগে যেত। এর আগে একবার গলা কাটার চেষ্টা পর্যন্ত করেছিল। কাউন্সেলিং করানো হয়েছিল বলেও দাবি পরিবারের। এদিকে দুই কিশোরী বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর যখন উদ্ধার করে শিশু কল্যাণ সমিতিতে আনা হয়, তারা হোমে পাঠানোর কথা বলে।
সেইমতোই গত অগস্ট মাস থেকে হোমেই ছিল কিশোরী। বাড়ির লোকজনের দাবি, শুক্রবার রাতে পুলিশ ফোনে জানায়, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, ক্যারাটের বেল্ট দিয়ে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রশ্ন, কোথা থেকে তাঁদের মেয়ে ক্যারাটে বেল্ট পেল? পরিবার এই ঘটনায় সন্দেহ প্রকাশ করছে।
নিহত কিশোরীর বাবা বলেন, “আমরা বলেছিলাম, মেয়ে যখন কয়েকদিন পর পর এরকম করে, তাহলে হোমে রাখি। এক দেড় মাস পর আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাব। কাল রাতে পুলিশ ফোন করে বলল মেয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে। হোম থেকে আমাকে জানায়নি। বলছে ক্যারাটের বেল্ট দিয়ে ঝুলেছে। কীভাবে হল এটা?” তবে হোম কর্তৃপক্ষকে ফোন করা হলেও ফোন ধরেনি। সল্টলেক ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার। কীভাবে এই মৃত্যু তার যথাযথ তদন্ত চেয়েছে তারা।