CV Ananda Bose: জন্মদিনে বোসকে শুভেচ্ছাবার্তা মমতার, ফোন এল ধনখড়ের কাছ থেকেও
CV Ananda Bose: দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাংলার কাছের মানুষ হয়ে উঠতে চেয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সরস্বতী পুজোর সময় হাতেখড়ি যেমন নিয়েছেন, তেমনই আবার বাংলায় বই লেখার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। বাংলা-বাঙালির প্রতি তাঁর ভালবাসার কথাও বলেছেন অকপটে।
কলকাতা: ৭৪ বছরে পা দিলেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। জন্মদিনের আগের সন্ধ্যাতেই শুভেচ্ছাবার্তা এসেছিল খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে। শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতী দ্রৌপদী মুর্মুও। এবার জন্মদিনে ফোনটা এল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ইস্যুতে লাগাতার চওড়া হতে দেখা গিয়েছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। দিন যত গড়িয়েছে বিবাদ যেন ততই বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যপালের জন্মদিনে মমতার শুভেচ্ছাবার্তা রাজনৈতিক সৌজন্যতারই এক বড় পাঠ হয়ে থেকে যাবে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশের।
এদিকে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাংলার কাছের মানুষ হয়ে উঠতে চেয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সরস্বতী পুজোর সময় হাতেখড়ি যেমন নিয়েছেন, তেমনই আবার বাংলায় বই লেখার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। বাংলা-বাঙালির প্রতি তাঁর ভালবাসার কথাও বলেছেন অকপটে। রপ্ত করতে চেয়েছেন বাঙালিয়ানাও। এমনকী যে কোনও প্রশাসনিক সমস্যার কথা শোনা মাত্রই তার সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার অভিযোগ আসতেই ছুটে গিয়েছেন মানুষের দরবারে। রাজভবনে খুলে ফেলেছিলেন পিস রুম।
এদিকে জন্মদিনে শুধু মমতা নন, বোসকে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন তাঁর পূর্বসূরিও। ফোন এসেছিল বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা দেশের বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের কাছ থেকেও। অন্যদিকে মোদী শুভেচ্ছাবার্তায় লেখেন, “মানুষের পরিষেবায় আপনার বিশাল অভিজ্ঞতা দেশের কাছে সম্পদ। মানব কল্যাণে ও দেশের সেবায় আপনি নিষ্ঠার সঙ্গে একটি মানদণ্ড তৈরি করেছেন। এটা রাজ্যবাসীর উন্নয়নে সাহায্য করবে। আপনার দেখানো পথে, রাজ্যের উন্নয়ন নতুন উচ্চতা স্পর্শ করতে থাকুক।”