এক সময়ের ত্রাস তেলুগু দীপকের ‘দেশদ্রোহিতা’ মামলায় রায় দান আজ

Telegu Deepak Case: ৪০টির বেশি রাজনৈতিক খুন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন এই তেলুগু দীপক।

এক সময়ের ত্রাস তেলুগু দীপকের 'দেশদ্রোহিতা' মামলায় রায় দান আজ
বেকসুর খালাস তেলুগু দীপক (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2021 | 2:35 PM

কলকাতা: মাওবাদী নেতা তেলুগু দীপকের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা হবে শুক্রবারই। দেশদ্রোহিতা মামলায় রায় দেবে আলিপুর আদালত। ২০১০ সালের মার্চ মাসে বিষ্ণুপুর থেকে পাকড়াও হন কিষেণজি-ঘনিষ্ঠ এই নেতা। একে৪৭ (AK47) রাইফেল-সহ তাঁকে পাকড়াও করে সিআইডি। ২৪ জন ইএফআর (EFR) জওয়ানের হত্যা, সাঁকরাইল থানার ওসিকে অপহরণ-সহ একাধিক ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে তেলুগু দীপকের বিরুদ্ধে। মামলা রয়েছে ইউএপিএ (UAPA) ধারাতেও।

মাওবাদী নেতা তেলুগু দীপকের বিরুদ্ধে মূলত দেশদ্রোহিতার মামলা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। শুক্রবার তারই রায়দান হবে আলিপুর আদালতে। এক সময় মাওবাদী নেতা কিষেণজীকে একে ৪৭’র মতো আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয় সেই সময়। এই তেলুগু দীপকের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ রয়েছে। ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলস (EFR)-এর ২৪ জন জওয়ানকে হত্যার পরিকল্পনা, সাঁকরাইল থানার ওসিকে অপহরণ-সহ একাধিক ষড়যন্ত্রের মামলা রয়েছে তেলুগু দীপকের বিরুদ্ধে।

এক সময় ত্রাসের সমার্থক ছিল এই তেলুগু দীপক নামটি। ২০১০ সালে তাঁকে গ্রেফতারি সেই সময় সিআইডির কাছে বড়সড় সাফল্য ছিল। ১৯৯৫ সাল থেকে এই তেলুগু দীপক কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজীকে সঙ্গে নিয়ে পশ্চিমবাংলায় যে ভাবে কার্যকলাপ বাড়াচ্ছিল মাওবাদীদের, তা অত্যন্ত মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল সেই সময়ের রাজ্য সরকারের। সেই জায়গা থেকে তাঁর গ্রেফতারি, দীর্ঘ সময় ধরে মামলা চলা এবং অবশেষে রায়দানের সময় চূড়ান্ত হওয়া নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

কে এই তেলুগু দীপক

তেলুগু দীপক ওরফে ভেঙ্কটেশ্বর রেড্ডি ছিলেন এক সময় কিষেণজির ছায়াসঙ্গী। ১৯৮৯ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন এক সময়ের এই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মাওবাদী নেতা। ১৯৮৯ যোগ দেন পিপলস ওয়ার গ্রুপে। ১৯৯৫ কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির সঙ্গে বাংলায় আসেন। তৈরি করেন মজদুর কিসান সংগ্রাম সমিতি নামে একটি শ্রমিক সংগঠন। সোদপুর-পানিহাটি এলাকায় ডেরা বাঁধেন ভেঙ্কটেশ্বর ওরফে তেলুগু দীপক।

প্রথমেই তাঁর নজরে ছিল শ্রমিক শ্রেণির মানুষজন। সে কারণেই সোদপুর-পানিহাটির মতো কলকারখানার রমরমা রয়েছে এমন এলাকায় ঘাঁটি তৈরি করেন। চটকল মজদুরদের নিয়ে শ্রমিক আন্দোলন শুরু করেন তিনি। ১৯৯৯ সালে পিডব্লিউজি-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য হন তিনি। ২০০০ সালে রাজ্য মিলিটারি কমিশনের সদস্য হন। সে বছরই কিষেণজির নির্দেশে জঙ্গলমহলে শুরু করেন মাওবাদী সংগঠনের কাজ। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে যান সংগঠন তৈরি করতে।

৪০টির বেশি রাজনৈতিক খুন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন এই তেলুগু দীপক। ঝাড়গ্রামের দলদলিতে পুলিশের উপর হামলায় সরাসরি যোগের অভিযোগ রয়েছে তাঁর নামে। একই সঙ্গে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের সিপিএম নেতা রবি কর হত্যা মামলাতেও অভিযুক্ত তেলুগু দীপক। তেলুগু দীপক ছিলেন এক সময় বাংলার ত্রাস। শুক্রবার তারই ভবিষ্যৎ কী হবে, তার রায় দেবে আদালত।

আরও পড়ুন: Exclusive Rudranil Ghosh: কেন প্রিয়াঙ্কা? কেন হারলেন? ভবানীপুরে প্রার্থীর নাম শুনে রুদ্রর ব্যাখ্যা