এমডি পরীক্ষায় ‘ফেল’ করায় পরপর ঘুমের ওষুধ খেল ডাক্তারি ছাত্রী! কাঠগড়ায় KPC হাসপাতাল

KPC Hospital: সহপাঠীরা অভিযোগের সুরে জানিয়েছেন, লিখিত পরীক্ষায় পাশ হয়ে গেলেও ওই ছাত্রীকে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হয়।

এমডি পরীক্ষায় 'ফেল' করায় পরপর ঘুমের ওষুধ খেল ডাক্তারি ছাত্রী! কাঠগড়ায় KPC হাসপাতাল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2021 | 8:36 PM

কলকাতা: থিওরি পরীক্ষায় পাশ করার পরও প্র্যাকটিক্যালে জোর করে ফেল করানোর অভিযোগে আত্মহত্যার চেষ্টা করল মেডিক্যাল ছাত্রী। কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাচক্রে, গতকাল ১০ সেপ্টেম্বর ছিল বিশ্ব আত্মহত্যা বিরোধী দিবস। আর সেই দিনই ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে এমডি মেডিসিনের ওই ছাত্রী। এমডি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার কারণেই তিনি এই ঘটনা ঘটান বলেন দাবি।

সূত্রের খবর, কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের ওই ছাত্রী এমডি-র থিওরি পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই ছাত্রী-সহ আরও দুজনকে ফেল করানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই ছাত্রী বর্তমানে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তাঁর সহপাঠীরা অভিযোগের সুরে জানিয়েছেন, লিখিত পরীক্ষায় পাশ হয়ে গেলেও ওই ছাত্রীকে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হয়। যার দরুণ তিনি ভেঙে পড়েন এবং আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।

সাধারণত, থিওরি পরীক্ষায় যারা ভাল নম্বর নিয়ে পাশ করেন, তাঁদের কখনই প্র্যাকটিক্যালে ফেল করানো হয় না। ঘরোনা শিক্ষিকদের উপস্থিতিতেই প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। সুতরাং, এমনটা খুব একটা হতে দেখা যায় যে কোনও ডাক্তারি পড়ুয়া থিওরিতে ৬০ শতাংশ নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হলেও প্র্যাকটিক্যালে ফেল করে যাচ্ছেন। কিন্তু কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে তিন জন ডাক্তারি পড়ুয়ার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটেছে।

আরও পড়ুন: Kolkata Covid 19: ফিরতে পারে কন্টেনমেন্ট জ়োন! এক মাসেই শহরের আক্রান্ত বেড়ে দ্বিগুণ

যদিও এই নিয়ে সব ধরনের প্রভাব খাটানোর তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছে কেপিসি কর্তৃপক্ষ। কেপিসি হাসপাতালের সিইও ইন্দ্রানী ঘোষ জানান, নিয়মের কড়াকড়ির কারণেই এ বছর প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার সময়ও বাইরের চিকিৎসকরা ছিলেন। এই রেজাল্টের ক্ষেত্রে কেউ প্রভাব খাটাননি। তাঁর দাবি, এই রেজাল্টের ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও ভূমিকা নেই। কারণ, বাইরে থেকে পরীক্ষক এসেই প্র্যাকটিক্যালের মূল্যায়ন করেন।

আরও পড়ুন: Bhawanipur Bypoll: বুথপ্রতি দু’জন করে এজেন্ট! তৃণমূলের চেনা ছকেই মমতাকে ফাঁদে ফেলতে চায় বিজেপি

ইন্দ্রানীদেবী আরও জানিয়েছেন, অনুত্তীর্ণ পড়ুয়াদের বলা হয়েছিল কোনও সমস্যা থাকলে স্বাস্থ্য ভবনে যেন রিভিউয়ের আবেদন জানানো হয়। তাঁর কথায়, “পড়াশোনা না করে যদি লোকে বলে পাশ করে যাবে, এখানে কর্তৃপক্ষের কিছু করার নেই। কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা দেখেই না।”

আরও পড়ুন: Cut Money: ‘আত্মহত্যা ছাড়া রাস্তা নেই,’ কাটমানির জ্বালায় অতিষ্ঠ বৃদ্ধ দম্পতির চিঠি বিডিও-কে