Covid 19 SOP for Rail: আজ থেকে মাস্কবিহীন যাত্রী ধরা পড়লেই জরিমানা, ৫০ শতাংশের হিসেব দিল রেল

Covid 19 SOP for Rail: রবিবারই নতুন বিধি প্রকাশ করেছে রেল। তারপরও রেল যাত্রীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। কতক্ষণ পর্যন্ত ট্রেন পাওয়া যাবে, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।

Covid 19 SOP for Rail: আজ থেকে মাস্কবিহীন যাত্রী ধরা পড়লেই জরিমানা, ৫০ শতাংশের হিসেব দিল রেল
বিধি-নিষেধের প্রথম দিনেই লোকাল ট্রেনে দেখা গেল ভিড়ের ছবি (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2022 | 2:46 PM

কলকাতা : করোনাকালে দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল লোকাল ট্রেন। পরে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় আবারও ছন্দে ফিরতে শুরু করে রেল পরিষেবা। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই ফের সংক্রমণের কোপ। করোনার রেখচিত্র এত দ্রুত বদলাচ্ছে যে আবারও বিধি-নিষেধ চালু করেছে রাজ্য সরকার।

কিন্তু সপ্তাহের প্রথম দিনেই রাজ্যের বিভিন্ন স্টেশন থেকে উঠে এল বিধি ভঙ্গের ছবি। ৫০ শতাংশের অনেক বেশি যাত্রীই যাতায়াত করছেন লোকাল ট্রেনে। সামাজিক দূরত্ব নেই বললেই চলে। তাই বিধি কি শুধুই খাতায়-কলমে? প্রশ্ন উঠেছে সেখানেই। এ ছাড়া সরকাররে ঘোষণা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিও রয়েছে। নিত্যযাত্রীদের একটা বড় অংশ প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন। তাঁদের কাছে নতুন বিধি পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তাই সে সব বিষয় নিয়েই সোমবার আলোচনায় বসেন পূর্ব রেলের আধিকারিকরা।

মাস্ক পরার ক্ষেত্রে নজরদারি চালাতে বিশেষ অভিযান

এর আগেও বিধি নিষেধ জারি থাকার সময় দেখা গিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে মাস্ক না পরলে জরিমানা দিতে হয়েছে যাত্রীদের। এবারও সেই নিয়ম বলবৎ থাকছে বলে জানিয়েছে রেল। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, যাত্রীরা মাস্ক পরেছেন কি না, তা দেখার জন্য বিশেষ অভিযান চালানো হবে। আচমকা ট্রেনের মধ্যে পরিদর্শন করা হতে পারে। কারও মুখে মাস্ক না দেখা গেলেই নেওয়া হবে জরিমানা।

৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালানো সম্ভব?

রাজ্য জুড়ে লক্ষ লক্ষ যাত্রী প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন। প্রত্যেক ট্রেনের ক্ষেত্রে নজরদারি চালানো কি আদৌ সম্ভব? এর আগে দেখা গিয়েছে, সব হিসেবই শুধু খাতায় কলমে রয়ে যায়। নিত্য়দিনের ভিড় শুধু নয়, ভিড়ের ঠেলায় ট্রেন থেকে যাত্রী পড়ে গিয়েছেন, এমন ঘটনাও ঘটেছে। তাই এবার কি রেলের কোনও পরিকল্পনা আছে? উত্তরে সিপিআরও বলেন, ‘যাত্রীদের অনুরোধ করছি, আপনারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এটাই একমাত্র উপায়।’ পাশাপাশি রেল আধিকারিকের দাবি, বিধি-নিষেধ জারি হলে যাত্রী সংখ্যা যা হওয়ার কথা, আর যত সংখ্যক ট্রেন আছে, তাতে ৫০ শতাংশের হিসেব মিলে যাবে।

সন্ধে ৭ টার পর কী হবে?

অনেক যাত্রীদের মধ্যেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, সন্ধে ৭ টা পর্যন্ত ট্রেন চললে তারপর কী হবে? ট্রেন ছাড়ার সময় সন্ধে ৭টা? নাকি গন্তব্যে পৌঁছতে হবে ৭টার মধ্যে? মাঝপথে ৭টা বেজে গেলে কী হবে?

রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভোর ৫ টা থেকে সন্ধে ৭ টা পর্যন্ত টাইম টেবিল মেনে সব ট্রেন চলবে। ৭ টায় শেষ ট্রেন ছাড়বে। তারপর তার গন্তব্যে পৌঁছতে যে সময় লাগবে, তাতে কোনও বাধা নেই। ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে টিকিট কাউন্টারও।

স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে কারা উঠতে পারবেন?

সিপিআরও জানান, আপাতত শুধু রেলের কর্মীদের জন্যই স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। পরে রাজ্য সরকার যদি নির্দেশ দেয় তাহলে অন্য়ান্য় জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষজনকে এই ট্রেনে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে।

রেলের দাবি, মাইকিং করে, নজরদারি চালিয়ে বিধি কার্যকর করা হচ্ছে। তবে যাত্রীদের দাবি, তেমন কোনও নজরদারি নেই। বিধি ভাঙছে অনেকেই।

ঠিক কী নির্দেশ নবান্নের?

রবিবার নবান্নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সোমবার থেকে সন্ধে সাতটার পর আর কোনও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু থাকবে না। কড়াকড়ি করা হয়েছে যাত্রী সংখ্যা নিয়েও। সন্ধে ৭ টা পর্যন্ত যে লোকাল ট্রেনগুলি চলবে, সেগুলিও ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়েই চলাচল করবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে পর মাথায় হাত পড়েছে নিত্যযাত্রীদের একাংশের। কলকাতার শহরতলি এবং সংলগ্ন এলাকাগুলি থেকে প্রচুর মানুষ প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে কলকাতায় নিজেদের কর্মস্থলে আসেন। এবার সন্ধে ৭ টার পর থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেলে, কীভাবে তাঁরা বাড়ি ফিরবেন না ভেবে দুশ্চিন্তা বাড়ছে তাঁদের।

আরও পড়ুন : COVID Rules Violation: কোথাও প্রভাত ফেরি, কোথাও ‘শিক্ষামূলক ভ্রমণ’! শিলিগুড়ি, মুর্শিদাবাদের স্কুলে শিকেয় কোভিড বিধি