Firhad Hakim: হিন্দুত্ব ও ইসলামবাদে হিংসা, বৌদ্ধধর্মই শান্তির পথ: ফিরহাদ
Firhad Hakim:'বৌদ্ধ ধর্মের যে প্রোগ্রাম, আজ বিশ্বে যখন হিংসা ও হানাহানি চলছে, হিন্দুত্ববাদেও হিংসা, ইসলামবাদেও হিংসা, তখন বৌদ্ধদেবই একমাত্র রাস্তা, যা পৃথিবীকে বাঁচাতে পারে। মানব জাতিকে বাঁচাতে পারে।'
কলকাতা: “হিন্দুত্ববাদের (Hindutvavadi) হিংসা (Violence) চলছে। আর একদিকে ইসলামবাদীদের (Islamist) হিংসা চলছে। তাই বৌদ্ধধর্ম (Buddhism) একমাত্র রাস্তা যার দ্বারা পৃথিবীতে শান্তি (Peace) আসবে। তাই আমাদেরও অহিংসার রাস্তায় চলতে হবে।” রবিবার আলিপুর চেতলা রোড়ে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
রবিবার আলিপুর চেতলা রোডের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন ফিরহাদ হাকিম। সেখান থেকে তাঁর বার্তা, “আজকের বিশ্বে সবাই হিংসা হানাহানি করছে। হিন্দুত্ববাদের হিংসা চলছে আর একদিকে ইসলামাবাদের হিংসা চলছে। বৌদ্ধধর্ম একমাত্র রাস্তা যার দ্বারা পৃথিবীতে শান্তি আসবে। তাই, আমাদেরও অহিংসার রাস্তায় চলতে হবে।”
ফিরহাদের কথায়, ‘বৌদ্ধধর্মের যে প্রোগ্রাম, আজ বিশ্বে যখন হিংসা ও হানাহানি চলছে, হিন্দুত্ববাদেও হিংসা, ইসলামবাদেও হিংসা, তখন বুদ্ধদেবই একমাত্র রাস্তা, যা পৃথিবীকে বাঁচাতে পারে। মানব জাতিকে বাঁচাতে পারে।’
যদিও মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শংসাপত্র প্রদান করলেও সাম্প্রতিক অতীতে মায়ানমারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের হিংসাশ্রয়ী অবস্থান তবে কী? তাঁরা বলছেন, কোনও ধর্মই হিংসার কথা বলে না। সমস্যা আসলে কট্টরপন্থীদের নিয়ে। ফিরহাদ হাকিম-ও হয়ত সেটাই বলতে চেয়েছেন।
ফিরহাদ হাকিমের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অনেকে তুলে আনছেন ‘দ্য ফেস অফ বুদ্ধিস্ট টেরর’ নামে পরিচিত মুসলিম বিরোধী বৌদ্ধ ভিক্ষু আশিন উইরাথুর উদাহরণ। কেন তাঁরা এমন উদাহরণ টানছেন?
কট্টর জাতীয়তাবাদী এবং রোহিঙ্গা মুসলিম বিরোধী বক্তব্যের জন্য নজরে আসেন এই বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। ‘বৌদ্ধ বিন লাদেন’ বলে কুখ্যাত এই বৌদ্ধ ভিক্ষুকে ২০১২ সালে মায়ানমারের বৌদ্ধ ও মুসলিমদের মধ্যে ভয়াবহ দাঙ্গার জন্য দায়ী করা হয়। এমনকি বৌদ্ধ ভিক্ষু উইরাথুরকে ২০১৩ সালে টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে‘দ্য ফেস অফ বুদ্ধিস্ট টেরর’ বলে অভিহিত করা হয়। অতি সম্প্রতি তাঁকে অবশ্য মুক্তি দিয়েছে মায়ানমারের সামরিক জুন্টা।
অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম এদিন পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যহ্রাসে কেন্দ্রের পদক্ষেপ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তাঁর কথায়, যেহেতু ভোট রয়েছে বিজেপির চারটে রাজ্যে, আর উপনির্বাচনে বিজেপি যেহেতু ধাক্কা খেয়েছে, তাই পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমিয়েছে তারা। ভোট হয়ে গেলে আবার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়বে বলে মন্তব্য করেন ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: Tathagata Roy: ‘স্বেচ্ছায় দল ছাড়ছি না’, আপাতত বিজেপি-তে বিবেকের পাঠ করবেন তথাগত