MLA Oath taking: রাজভবনকে এড়িয়ে যাচ্ছে নবান্ন? দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে বাড়ছে জল্পনা
MLA Oath taking: প্রশাসনিক মহলের অনেকে বলছেন, এই চিঠি নিয়ে রাজভবন যদি গুরুত্ব না দেয়, তাহলে কারও কিছু বলার থাকবে না। কারণ, শপথের ব্যাপারে রাজ্যপালের অনুমতি চাওয়ার চিঠি পরিষদীয় দফতর দিয়ে থাকে, যা এবার হয়নি বলেই সূত্রের খবর।
কলকাতা: রাজভবনকে কি এড়িয়ে যাচ্ছে নবান্ন? দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে উঠছে এমনই প্রশ্ন। ভগবানগোলার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন রেয়াত হোসেন সরকার ও বরাহনগরে জয়ী হয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের শপথ নিয়ে কেন সরাসরি রাজভবনে চিঠি দিল না পরিষদীয় দফতর, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে প্রশাসনিক মহলে। তবে কি রাজভবনকে এড়িয়ে যেতেই এমন ভাবনা কাজ করল নবান্নের?
বরাবরই নতুন বিধায়কদের শপথের জন্য রাজভবনের কাছে চিঠি পাঠিয়ে থাকে রাজ্যের পরিষদীয় দফতর। কিন্তু এবার সেই চিঠি বিধানসভার সচিবালয়ের তরফে গিয়েছে বলে সূত্রের দাবি। যদিও শপথ সংক্রান্ত বিষয়ে রাজভবনের তরফে বিধানসভায় কোনও জবাবি চিঠি পৌঁছয়নি এখনও।
প্রশাসনিক মহলের অনেকে বলছেন, এই চিঠি নিয়ে রাজভবন যদি গুরুত্ব না দেয়, তাহলে কারও কিছু বলার থাকবে না। কারণ, শপথের ব্যাপারে রাজ্যপালের অনুমতি চাওয়ার চিঠি পরিষদীয় দফতর দিয়ে থাকে, যা এবার হয়নি বলেই সূত্রের খবর।
রাজ্যপাল নিজে শপথ বাক্যপাঠ করাতে পারেন, যেমন রাজভবনে ধূপগুড়ির নির্মল রায়ের শপথ হয়েছিল। সেবারও পাঠ করিয়েছিলেন সিভি আনন্দ বোস। বিধানসভার ইতিহাসে নজির গড়েছিল সেই ঘটনা। সাধারণভাবে বিধায়কদের শপথ গ্রহণ করানোর জন্য স্পিকারকে দায়িত্ব দিয়ে থাকেন। তবে ব্যতিক্রম হয়েছিল বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথে। বিধানসভায় গিয়ে শপথ পাঠ করিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়, যা নজিরবিহীন ছিল।