Na Bollei Noy: বাংলায় একের পর এক নোটের পাহাড়! কিছু কথা ‘না বললেই নয়’

Na Bollei Noy: আফশোস একটাই, সেই টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল বা এই গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের মতো লোকজনই ধরতে পারছেন। মুঠোয় পুড়তে পারছেন।

Na Bollei Noy: বাংলায় একের পর এক নোটের পাহাড়! কিছু কথা 'না বললেই নয়'
না বললেই নয়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2022 | 5:01 PM

মনে হচ্ছে, চাঁদের পাহাড় দেখতে আফ্রিকা যেতে হবে। আর নোটের পাহাড় দেখতে আসতে হবে বাংলায়। এটাই বহুদিন বলার মতো কয়েনেজ তৈরি হচ্ছে মনে হচ্ছে। সব মিলিয়ে, গর্বে বুক ফুলে উঠছে বুঝলেন। বাঙালিকে নীচু নজরে দেখার দিন শেষ। ব্যবসা নেই, বিনিয়োগ নেই, শিল্প নেই। এসব বলে কান্নাকাটি আর হেয় করা যথেষ্ট হয়েছে। নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে, বাংলার এখন পরের পর নোটের পাহাড় দেখিয়ে চলেছে। বলা যায় না, পুজোয় যারা লেটে রান করছে, তেমন কোনও বারোয়ারির থিম হয়ে যেতে পারে নোটের পাহাড়। কোটির নীচে তো আমরা এখন কোনও কথাই বলছি না।

বেলঘরিয়া হোক বা বীরভূম। ডায়মন্ড সিটি হোক বা গার্ডেনরিচ। সব জায়গাতেই হেলাফেলা করে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা ছিল কোটি কোটি টাকা। অবশ্য সেটাই তো স্বাভাবিক। টাকা মাটি, মাটি টাকা, তো এই বাংলা থেকেই প্রথম শোনা গিয়েছিল। সেই ফিলোজফি যে কেউ কেউ এতো ভক্তি ভরে গ্রহণ করেছেন, সেটা তাঁদের বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা তাড়া তাড়া নোট দেখেই বোঝা যাচ্ছে। একটা সময় ছিল, যখন বলা হতো, মুম্বইয়ের হাওয়ায় না কি টাকা ওড়ে। কোথায় লাগে বলুন তো মুম্বই? ঝোড়ো হাওয়ায় সব টাকা মনে হচ্ছে, কলকাতায় চলে এসেছে। বাংলার আকাশে বাতাসে এখন টাকা উড়ছে।

আফশোস একটাই, সেই টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল বা এই গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের মতো লোকজনই ধরতে পারছেন। মুঠোয় পুড়তে পারছেন। সবাই পারছেন না। সেই আফশোস থেকেই কি না জানি না, আমির খানের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পর, যথারীতি রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গেছে। ইডি সূত্রের দাবি, গার্ডেনরিচে গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার টাকা জমা হয়েছিল। নির্ঝঞ্ঝাটে, বেআইনিভাবে এতো টাকা জমা হওয়ার পিছনে রাজনৈতিক যোগও ইডি আধিকারিকরা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। যথারীতি বিজেপি, এই প্রভাবশালী তত্ত্বের ভিত্তিতে তৃণমূলের যোগ খুঁজতে ব্যস্ত। আর তৃণমূলের নেতা, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাবি করছেন, এইভাবে তল্লাশি করে আসলে, রাজ্যের ব্যবসায়ীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এরপর বাংলায় ব্যবসার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে। অর্থাত্‍, সেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এজেন্সি ব্যবহারের অভিযোগ। কে ঠিক, কে ভুল আমরা জানি না। কে সামনে, কে অন্তরালে তাও আমরা জানি না। আমরা শুধু জানি, আমরা শুধু পারছি, বাংলায় টাকার অভাব নেই। অভাব নেই বলেই, একের পর এক গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। আচ্ছা, তাহলে নেতাদের কাছে টাকা থাকলেই শুধু দোষ? সম্পত্তি খতিয়ে দেখার মামলায় স্থগিতাদেশ পড়ার পর, তাহলে কেন শাসকদলের নেতারা এতো স্বস্তি পাচ্ছেন বলুন তো? অবশ্য, টাকা থেকে টি শার্ট সবই তো এখন রাজনীতির অংশ হয়ে গেছে। শুধু মাঝে মধ্যে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, এই যা। তাই আজ এসব বিষয়ে কিছু কথা না বললেই নয়।

না বললেই নয়। রাত ৮.৫৭, টিভি নাইন বাংলায়।