Nabanna Abhijaan: নবান্ন অভিযানে ইট এসে লাগে চোখে, ৩৭ বছরেই দৃষ্টিহীন হওয়ার আশঙ্কা কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট
Nabanna Abhijaan: নবান্ন অভিযানে পুলিশ তৎপরতা সকাল থেকেই ছিল চোখে পড়ার মতো। জলকামান, টিয়ার গ্যাসের সেল তো বটেই, রাস্তায় গর্ত খুড়ে ব্যারিকেড ভেঙে ঢালাই করে দেওয়া হয়েছিল, আনা হয়েছিল বড় বড় কন্টেনার। অশান্তির আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল।
কলকাতা: নবান্ন অভিযানে আক্রান্ত হতে হয়েছে পুলিশকে। সে ছবি ধরা পড়েছে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়েছে। এমনকি পুলিশকে মাটিতে ফেলে লাঠিপেটা করা হয়, লাথিও মারা হয়। ইটের আঘাতে মাথা ফেটে যায় একাধিক পুলিশ কর্মীর। মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানে কড়া তৎপরতা ছিল পুলিশের। স্ট্র্যান্ড রোডে ডিউটিতে ছিলেন দেবাশিস চক্রবর্তী নামে কলকাতা পুলিশের এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। আচমকাই জমায়েত থেকে ইট এসে চোখে লাগে তাঁর। পুলিশের গাড়ির উইন্ড স্ক্রিন ভেঙে ইট এসে লাগে তাঁর চোখে। ইটের আঘাতে চোখ ফেটে রক্ত বের হতে থাকে তাঁর। বুধবার তাঁর চোখে অস্ত্রোপচার হয়। তারপরই চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, দেবাশিসের বাম চোখের দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। তাঁর কর্নিয়া ও রেটিনা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সারাজীবনের মতো বাম চোখের দৃষ্টি হারাতে পারেন ওই সার্জেন্ট। তাঁকে হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য।
নবান্ন অভিযানে পুলিশি তৎপরতা সকাল থেকেই ছিল চোখে পড়ার মতো। জলকামান, টিয়ার গ্যাসের সেল তো বটেই, রাস্তায় গর্ত খুড়ে ব্যারিকেড ভেঙে ঢালাই করে দেওয়া হয়েছিল, আনা হয়েছিল বড় বড় কন্টেনার। অশান্তির আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের’ নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত সংযত। অন্তত তেমনটাই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কিন্তু পুলিশের ওপর একাধিক ক্ষেত্রে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইটবৃষ্টি হয়েছে। হাওড়াতে মাটিতে ফেলে পুলিশকে লাথি মারা হয়েছে। লাঠিপেটাও করা হয়েছে। কিন্তু এই অভিযানেই ডিউটিতে গিয়ে মাত্র ৩৭ বছর বয়সেই বাঁ চোখ সারাজীবনের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হল সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীর।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)