‘নিজেরাই আইন ভেঙেছে সিবিআই’, উল্লেখ মদনের হলফনামায়
গত কাল এই মামলায় হলফনামা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, মদনের হলফনামা পড়লেন আইনজীবী লুথরা।
কলকাতা: নারদ মামলার শুনানিতে আজ, বৃহস্পতিবার মদন মিত্রের হলফনামা থেকে পড়লেন আইনজীবী লুথরা। সেখানে বলা হয়েছে, সিবিআই অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে। অথচ ‘এরেস্ট মেমো’তে লেখা সিবিআই অফিস নিজাম প্যালেস থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। হলফনামায় দাবি, সিবিআই নিজেই মবোক্রেসির অভিযোগ তুলেছে আবার নিজেরাই আইন ভাঙছে। হলফনামায় কাব্য চলে না, হয় হলফমামা ভুল না হয় মেমো ভুল। যে ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তার সঙ্গে আইনের কোনও সম্পর্ক নেই।
বিচারপতি সৌমেন সেন এই হলফনামা শুনে বলেনম, এগুলো কি এই মামলার সঙ্গে জড়িত? সিবিআই কোর্টে বিশৃঙ্খলার জন্য আসামীদের নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের দাবি, ‘এর সঙ্গে লোক জড়ো হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।’ বিচারপতি ট্যান্ডন বলেন, জামিন সংক্রান্ত বিষয় হলে এই বক্তব্য সোনা যেত। কিন্তু সাংবিধানিক বেঞ্চ কি এটা শুনবে?
আইনজীবী লুথরার দাবি, গ্রেফতারিও যুক্তিযুক্ত নয়। তদন্তে কোনও অসহযোগিতা করা হয়নি। নোটিশ না থাকা সত্ত্বেও কেন গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কোভিড প্রোটোকল না মেনেই মদন মিত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও দাবি।
আরও পড়ুন: অ্যাকটিভ কেস কী ভাবে ১৪,৭০০? করোনা নিয়ে তথ্য গরমিলের অভিযোগ উঠল রাজ্যের বিরুদ্ধে
বুধবার সেই নিজাম প্যালেসে উপস্থিত নিয়ে আদালতে হলফনামা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, সে দিন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে সিবিআই দফতরে হাজির হন তিনি। হলফনামায় মমতা এও জানিয়েছেন, ধৃতদের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে, বিশেষত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, যাঁর সঙ্গে তিনি ছাত্রাবস্থা থেকে পরিচিত, তাঁদের জন্যই সে দিন নিজাম প্যালেসে গিয়েছিলেন। নারদ মামলায় গ্রেফতার হওয়া হেভিওয়েটদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর এভাবে ছুটে যাওয়ায় মামলা প্রভাবিত হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এদিন হলফনামায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোনওরকম বল প্রয়োগ করে নয়, তিনি অন্যান্য সবার মতোই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার তিনটি বলয় পেরিয়ে নিজাম প্যালেসের যে বিল্ডিংয়ে সিবিআইয়ের অফিস আছে, তার ১৩ ও ১৫ তলায় গিয়েছিলেন।