অ্যাকটিভ কেস কী ভাবে ১৪,৭০০? করোনা নিয়ে তথ্য গরমিলের অভিযোগ উঠল রাজ্যের বিরুদ্ধে

এই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য ভবন। ডাকা হল সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের।

অ্যাকটিভ কেস কী ভাবে ১৪,৭০০? করোনা নিয়ে তথ্য গরমিলের অভিযোগ উঠল রাজ্যের বিরুদ্ধে
এই বুলেটিন নিয়েই গরমিলের অভিযোগ
Follow Us:
| Updated on: Jun 10, 2021 | 7:08 PM

কলকাতা: প্রত্যকদিন স্বাস্থ্য দফতর থেকে করোনা বুলেটিন প্রকাশ করা হয়। নতুন করে কত জন সংক্রামিত হলেন, কত জন সুস্থ হয়েছে, মোট কতজন আক্রান্ত  হয়েছেন, সেই সব তথ্য থাকে সেখানে। গত কয়েকদিনে সেই বুলেটিন দেখে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখেছে রাজ্যবাসী। কিন্তু সেই বুলেটিনে আদৌ সঠিক তথ্য আছে তো? উঠল সেই প্রশ্ন। চিকিৎসক সংগঠনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য ভবন।

কী আভিযোগ?

অ্যাসোসিয়েশন অফ হেল্থ সার্ভিস ডক্টরসের তরফ থেকে একটি চিঠিতে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, গত কাল বুধবার এই বুলেটিন অ্যাকটিভ কেস ১৪,৭০০। সাধারণত কত জন রোগী ছাড়া পেয়েছেন ও কত জনের মৃত্যু হয়েছে, সেই সংখ্যাটা মোট আক্রান্তের সংখ্যা থেকে বাদ দেওয়া হয়। সেই হিসেবে বলা হয় অ্যাকটিভ কেস কত। কিন্তু গত কয়েকদিনে গড়ে পাঁচ হাজারের কিছু বেশি থাকছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। চিকিৎসকদের দাবি, কমপক্ষে ৫ হাজার আক্রান্ত হলেও অ্যাকটিভ কেস ১৫ হাজার হওয়া উচিৎ, তাহলে কেন এই সংখ্যা ১৪,৭০০।

স্বাস্থ্য ভবন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, যখন দৈনিক আক্রান্ত ২০ হাজারের বেশি হচ্ছিল  তখন সঠিক হিসেব দেখালে রাজ্যে অ্যাকটিভ কেস হওয়া উচিৎ ছিল ৩ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ। আর সেই সংখ্যা সামনে আসলে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হত। সম্ভবত সেই কারণেই এই তথ্যের গরমিল সামনে এসেছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারা দেশ-সহ এ রাজ্যে মোট করোনা রোগীর ৮০ শতাংশ হোম আইসোলেশনে। ২০ শতাংশ মডারেট বা সিনিয়র হ‌ওয়ার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের টুইটার হ্যান্ডলের পরিসংখ্যান উল্টো কথা বলছে। হোম আইসোলেশনের থেকে বেশি রোগী হাসপাতালে! এটা সত্যি হলে সারা দেশের নিরিখে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ অন্য খাতে ব‌ইছে বলে বলতে হয়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব বলেন, বিষয়টি দেখা হয়েছে ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।