Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

প্রাক্তন আইবি প্রধানের নেতৃত্বে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র তদন্ত, হাইকোর্টের নির্দেশে তৈরি কমিটি

সোমবারই এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (NHRC) তদন্তভার দেওয়ার নির্দেশ বহাল রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)

প্রাক্তন আইবি প্রধানের নেতৃত্বে 'ভোট পরবর্তী হিংসা'র তদন্ত, হাইকোর্টের নির্দেশে তৈরি কমিটি
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 21, 2021 | 7:35 PM

নয়া দিল্লি: ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র অভিযোগে ক্রমশ চাপ বাড়ছে রাজ্য সরকারের। রাজ্যে সন্ত্রাসের যে অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্তভার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হাতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর তারপরই শুরু হল তোড়জোড়। তদন্তের জন্য বিশেষ কমটি গঠন করল মানবাধিকার কমিশন। সেই কমিটিই রাজ্যে এসে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বলে জানা গি্য়েছে।

সোমবার এই কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন অবরসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অরুণ মিশ্র। প্রাক্তন আই বি প্রধান রাজীব জৈনের নেতৃত্বে তৈরি হচ্ছে এই কমিটি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, তদন্ত করবেন তাঁরা। এই কমিটিতে রয়েছেন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন আতিফ রশিদ, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য রাজুবেন এল দেশাই, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিরেক্টর জেনারেল সন্তোষ মেহতা, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার প্রদীপ কুমার পাঁজা ও রাজ্য লিগাল সার্ভিস অথরিটির সেক্রেটারি রাজু মুখোপাধ্যায়।

এখনও পর্যন্ত ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস সংক্রান্ত যা অভিযোগ জমা পড়েছে বা জমা পড়বে, সেগুলি খতিয়ে দেখাই হবে এই কমিটির কাজ। যে সব জায়গাব থেকে অভিযোগ এসেছে, সেখানেও যাবেন কমিটির সদস্যরা। প্রত্যেকে যাতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবা করতে পারে সেটা নিশ্চিত করবে কমিশন। সন্ত্রাসের ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তাদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি যে সব পুলিশ আধিকারিক অভিযোগ পেয়েও চুপ করে থেকেছে তাঁদেরও চিহ্নিত করবে এই বিশেষ কমিটি। কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দ্রুত তদন্ত শুরু হবে।

আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় গাফিলতি কবুল বিদ্যুৎ বিভাগের, সাসপেন্ড আধিকারিক

সোমবারই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর হয়নি? কেন রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনে কোনও অভিযোগ জমা পড়ল না? তা নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। সঠিক পথে তদন্ত হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে হাইকোর্টের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার যে আর্জি জানানো হয়েছিল, তা খারিজ হয়ে যায় এ দিন। অন্য দিকে, এই মামলায় রাজ্যের এক তরফা শুনানি আটকাতে ক্যাভিয়েট দাখিলের পথে জনস্বার্থ মামলাকারী আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করা হতে পারে।