KMC Election 2021: পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, হিংসার ঘটনা ঘটলে জবাবদিহি করতে হবে ডিজি, সিপিকে
KMC Election 2021: আজ শুক্রবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি।
কলকাতা : পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য পুলিশেই আস্থা রাখল আদালত। তবে নির্বাচনে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটলে আদালতে জবাবদিহি করতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও রাজ্য পুলিশের ডিজি। অন্তর্বর্তী নির্দেশে এমনটাই বলেছে আদালত।
বিজেপির করা মামলার আজ শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। এর আগে সিঙ্গল বেঞ্চেও খারিজ হয়ে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় বিজেপি। তবে সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে।
তবে অন্তর্বর্তী নির্দেশে স্পষ্ট, নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনও ঘটনায় নজর রাখবে আদালত। আগামী ২৩ ডিসেম্বর অর্থাৎ কলকাতার পুরভোট মিটে যাওয়ার পর আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। এ ছাড়া পুরভোটের আগে কমিশনকে পুলিশের সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে বসতে হবে।
কী সেই মামলা?
পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা করে বিজেপি। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় বিচারপতি স্পষ্ট করে বলে দেন কেন কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই। শুধু মাত্র চারজনের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় এটা নয় বলেই মত বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চের। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়। আজ সেই মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া হল।
এই মামলায় কমিশনকে তিরষ্কার করেছে হাইকোর্ট
বুথে পুলিশি নিরাপত্তা কেমন তার স্পষ্ট নকশা এ দিন দিতে বলা হয় আদালতে। সেই ব্লু প্রিন্ট দিতে না পারায় তিরস্কার করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি কমিশনের আইনজীবীকে বলেন, ‘আপনারা কি বিষয় টা সিরিয়াসলি নিচ্ছেন না?’
এ দিন আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জানান, বুথে সিসিটিভি রাখা হচ্ছে। একাধিকবার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক হয়েছে। পুরভোটে বাহিনীর কোনও প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। আইনজীবী বলেন, ‘বুথে একজন সশস্ত্র পুলিশ থাকছেন। কমিশন আশ্বাস দিচ্ছে, কোনও সন্ত্রাস হবে না।’ সে কথা শুনে প্রধান বিচারপতি মনে করিয়ে দেন, এখানে ভোটারদের ভয় পাওয়া এবং সন্ত্রাসের ইতিহাস আছে। সে বিষয়ে জবাব দিতে গিয়ে কমিশনের তরফে আশ্বস্ত করা হয় অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তার নিষ্পত্তি করা হবে। পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানানো হয় কমিশনের তরফে। আইনজীবী বলেন, ‘কারও অনুমানের ওপর ভিত্তি করে কিছু হয় না’।