জোড়া টিকা নেওয়ার পর করোনায় কোনও পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়নি বাংলায়
দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগেই রক্ষাকবচ ভ্যাকসিনের প্রয়োগ হয়ে যাওয়ার ফলে এ বার সংক্রমণ ও মৃত্যু, দুই-ই ঠেকিয়ে দেওয়া গিয়েছে।
কলকাতা: করোনার প্রথম ঢেউ বিরাট আঘাত হেনেছিল পুলিশ-প্রশাসনের উপর। অদৃশ্য শত্রুর ছোঁয়াচে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের বহু কর্মী। কারণ তখনও এর বিরুদ্ধে লড়ার কোনও অস্ত্র ছিল না কারোর কাছে। এখন সেই হাতিয়ার চলে এসেছে হাতে। আর তার প্রয়োগের ফলে যে কার্যত ম্যাজিকের মতো কাজ হয়েছে, তা সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানেই পরিষ্কার। প্রথমবার করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর সময় পুলিশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাটা ভয় ধরিয়েছিল। তবে দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগেই রক্ষাকবচ ভ্যাকসিনের প্রয়োগ হয়ে যাওয়ার ফলে এ বার সংক্রমণ ও মৃত্যু, দুই-ই ঠেকিয়ে দেওয়া গিয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্র মারফৎ যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে ভ্যাকিসের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিশ্বাস আরও বৃদ্ধি পেতে বাধ্য। ‘ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার’ হিসেবে চিকিৎসকদের পরই পুলিশকর্মীরা জোড়া টিকা পেয়ে যাওয়ায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বিশেষ ক্ষতি করতে পারেনি রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের। সূত্রের খবর, করোনার প্রথম ধাক্কায় রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার কর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন। যাঁদের মধ্যে প্রাণ হারাতে হয়েছিল প্রায় ১০০ কর্মীকে। কিন্তু করোনার দু’টি ডোজ় পেয়ে যাওয়ার পর সেই মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যে নেমে এসেছে। অন্যদিকে দু’টি ডোজ় নেওয়ার পরও আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২০০০ জন। যদিও কারোর অসুস্থতাই গুরুতর নয়। এমনটাই খবর সূত্রের।
আরও পড়ুন: উডবার্নে সুব্রতর ঘরে মদন-শোভন, যোগ দিলেন বৈশাখীও! আদালতের রায় বেরতেই জরুরি বৈঠক
তবে এমনটা নয় যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ কারোর প্রাণ কেড়ে নেয়নি। চলতি বছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ৫ পুলিশকর্মীর। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ওই ৫ পাঁচ পুলিশকর্মী স্বেচ্ছায় টিকা নিতে চাননি। এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। অন্যদিকে টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মোট ১ লক্ষ পুলিশকর্মী ভ্যাকসিনের উভয় ডোজ় নিয়ে ফেলেছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে সিংহভাগই সেরামের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ় নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বোমার আঘাতে গুরুতর জখম বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট, ঘাটালে তীব্র উত্তেজনা