OMR Sheet Scam: ‘৫ বছর নিজের শ্রম দিয়েছি, কেন ফেরত দেব বেতন?’, আবারও ডিভিশন বেঞ্চে বেপরোয়া বেনিয়মে চাকরি পাওয়া অযোগ্যরা
Recruitment Scam: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি বাতিল হওয়া কয়েকজন গ্রুপ - ডি কর্মী।
কলকাতা: “৫ বছর চাকরি করেছি। বিদ্যালয়ে নিজের শ্রম দিয়েছি। কেন ফেরত দেব বেতন ?” প্রশ্ন তুলে ফের কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল নতুন মামলা। গ্রুপ ডি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি বাতিল হওয়া গ্রুপ – ডি কর্মীদের একাংশ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি বাতিল হওয়া কয়েকজন গ্রুপ – ডি কর্মী। গত ১০ ই ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওএমআর শিটে গরমিলের দায়ে চাকরি বাতিল হয়েছে ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন ১৯১১ জন গ্রুপ ডি হিসেবে গন্য হবেন না। তাঁদের বেতনও বন্ধ হয়ে যাবে । এতদিন তাঁরা যে বেতন পেয়েছেন, সেটাও ফিরত দিতে হবে। ধাপে ধাপে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সিবিআই এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৮২৩ টি OMR Sheet বিকৃত করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৯১১ জন সুপারিশপত্র পেয়েছেন এবং তাঁরা বর্তমানে কর্মরত। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ইতিমধ্য়েই স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে যে নিয়োগের সুপারিশপত্রগুলি বাতিল করা হয়েছে, তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। হাইকোর্টে কমিশনের তরফে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়, ‘ওএমআর শিট পরীক্ষা করে সিবিআই এর সঙ্গে মিলে গিয়েছে ২৮১৮ টি ওএমআর শিট, যারা কারচুপি করেছিল বলে অভিযোগ। চার জনে শনাক্ত করা যায়নি। ২৮২৩ নাইসার রেকর্ডে ছিল। এদের মধ্যে ১৯১১ জনের নম্বর এসএসসির সার্ভারে বেশি ছিল। এই ১৯১১ জনের সুপারিশ সঠিক ছিল না।’ এরপর বিচারপতির কলমের খোঁচায় ১০ মিনিটের মধ্যে চাকরি গিয়েছে তাঁদেরই। একদিকে, চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হয়েছেন কয়েকজন গ্রুপ – ডি কর্মী। এবার বেতন ফেরতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হল নয়া মামলা।