Fake Website: ভুয়ো পোর্টাল বানিয়ে বালি তোলার অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ, গ্রেফতার MCA উত্তীর্ণ যুবক
Fake Website: অভিযোগ, তিনি সরকারি ওয়েব পোর্টালের নকল করে এই ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এমসিএ পাশ করেছেন তিনি। ওয়েবসাইট ডেভেলপ করাই তাঁর কাজ।
বিধাননগর: নিয়োগ দুর্নীতিতে ভুয়ো পোর্টাল ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের নাকি এমন এক পোর্টাল ছিল, যার সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে পর্ষদের পোর্টালের। আর এবার বালি তোলার ক্ষেত্রেও সেই একই অভিযোগ! সরকারি ওয়েব পোর্টাল হুবহু নকল করে বালি তোলার অনুমতি পত্র প্রদান করা হত এক ভুয়ো সংস্থার তরফে। তারই পর্দা ফাঁস করল বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ। বর্ধমান কাটোয়া থেকে গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত যুবক শৌভিক চট্টোপাধ্যায়কে। আগেই এই অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই তদন্তেই উঠে এসেছিল শৌভিকের নাম।
গত বছর অক্টোবরে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার শমিক পানিগ্রাহী বিধান নগর সাইবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানিয়েছিলেন, বিনা অনুমতিতে বালি খাদান থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি ওয়েব পোর্টাল নকল করে পোর্টাল তৈরির কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এর ফলে একদিকে যে রকম রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে, অপরদিকে অবৈধ বালি তোলার ফলে নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য।
এই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে সাইবার থানার পুলিশ। প্রথমেই অভিযুক্ত হাসানুজ্জামান মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও তিনটি রাউটার উদ্ধার করা হয়ছিল। সেই সমস্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইস খতিয়ে দেখে আরও এক অভিযুক্তের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরেই শৌভিক চট্টোপাধ্যায়কে বর্ধমান কাটোয়া থেকে গ্রেফতার করা হল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারি ওয়েব পোর্টালের নকল করে এই ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এমসিএ পাশ করেছেন তিনি। ওয়েবসাইট ডেভেলপ করাই তাঁর কাজ। তাই তাঁর পক্ষে এই কাজ সহজ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবারই তাঁকে তোলা হবে বিধাননগর মহাকুমা আদালতে। নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবেন তদন্তকারী অফিসারেরা।