Tiger Census: সুন্দরবনে শুরু হল বাঘ গণনা, গভীর জঙ্গলে একমাত্র ‘সাক্ষী’ টিভি ৯ বাংলা

Sundarban: অত্যাধুনিক ক্যামেরায় ধরা পড়বে বাঘের ছবি।

Tiger Census: সুন্দরবনে শুরু হল বাঘ গণনা, গভীর জঙ্গলে একমাত্র 'সাক্ষী' টিভি ৯ বাংলা
সুন্দরবনে শুরু বাঘ গণনার কাজ (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2021 | 3:51 PM

সুন্দরবন: আনুষ্ঠানিকভাবে বাঘ গণনার কাজ শুরু করল সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ (STR)। জাওয়াদের(Jawad) কারণে এই সুমারীর কাজ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে এসটিআর এলাকায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ক্যামেরা বসানো হবে। সেই কাজ আজকে শুরু হল। গভীর জঙ্গলে যার একমাত্র সাক্ষী টিভি ৯ বাংলা।

পীরখালির (Pirkhali) সংলগ্ন দ্বীপে জিপিএস ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। ৭৪৮টি গ্রিডে (Grid) দু’টি করে ক্যামেরা বসানো হবে। এক-একটি গ্রিড হল দুই বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে। মোট ১ হাজার ৪৯৬ টি ক্যামেরা বসিয়ে বাঘের ছবি তোলা হবে।

tiger-census

গভীর জঙ্গলে চলছে ক্যামেরা লাগনোর কাজ

জানা গিয়েছে, প্রায় পনেরো দিন যেসব জায়গাগুলিতে ক্যামেরা বসানো হয়েছিল সেই সকল জায়গায় পুনরায় ঢুকে ক্যামেরার ব্যাটারি বদলানো হবে। এক-একটি জায়গায় প্রায় ৩২ দিন করে থাকবে ক্যামেরাগুলি। এরপর ফের বাদাবন অর্থাৎ যেখানে মানুষবাস করে সেইখানেও রাখা হবে ক্যামেরা। সেখানেও ৩২ দিন করে বসিয়ে রাখা হবে ক্যামেরাগুলি। এর উপর ভিত্তি করেই কতগুলি বাঘ আছে তার গণনার কাজ হবে।

এক বনকর্মী জানান, বাঘ গণনার সুবিধার্থে রাখা গাছে বেঁধে রাখা হচ্ছে টোপ। এই টোপগুলি মাংস, ডিম দিয়ে বানিয়ে পচানো হয়েছে। যাতে এর গন্ধে বাঘ আসে আর ওর ছবি উঠে যায়। আর এক বন আধিকারিক জানান, “প্রতি চার বছর অন্তর সর্বভারতীয় স্তরে একটি ব্যাঘ্র গণনা হয়। এর আগে ২০১৭-২০১৮ সালে হয়েছিল। এরপর ফের ২০২১-২০২২ সালে হচ্ছে। এরই কাজ শুরু হয়েছে। ”

এই মুহুর্তে বাঘ সুমারি ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

১) বাঘকে বাঁচানোর একটি লড়াই জারি রয়েছে। মানুষকে সচেতন করা হয়েছে। মানুষ যাতে বাঘের এলাকায় না চলে যায়। কারণ তার ফলে মৃত্যু হচ্ছে।

২) বাঘের সংখ্যা বাড়ল কিনা তা খতিয়ে দেখা।

৩) বাদাবনের সংখ্যা কতটা বেড়েছে সেই তথ্য জানা। অর্থাৎ সুন্দরবনকে বাঁচাতে গেলে জরুরি বাদাবন। কারণ সুন্দরবন বাঁচলে বাঁচবে কলকাতা। বাঁচবে বাকি রাজ্য।

তাপস দাস, চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট এন্ড ফিল্ড ডিরেক্টর অফ STR(সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ) তিনি জানান, “এই বাঘ সুমারির উদ্দেশ্য একটাই। বাদাবন ও বাঘের সংখ্য়া বাঁচানো। আদৌ বাঘ এবং বাদাবনের সংখ্যা বেড়েছে কিনা। বাড়লেও ঠিক কতটা বেড়েছে, কোন জায়গায় কতটা বেড়েছে সেটা দেখার জন্য প্রতিটি চার বছর অন্তর এই বাঘসুমারি করা হয়ে থাকে। এই গণনা প্রতিটি টাইগার রিজার্ভে হয়ে থাকে। সেই মতো সুন্দরবন একটি রিজার্ভ ফরেস্ট। এখানেও হচ্ছে। তিনামাস ধরে সুমারির পদ্ধতিতে আমরা এই সুমারি করব। ” পাশাপাশি তিনি বলেন, “আমরা প্রতিবছরই আশা করি বাঘ বাড়বে।গত বছর বাঘের সংখ্যা ৯৬ ছিল। তবে সব জায়গায় ক্যামেরা বসানো যায় না। কিন্তু আমারা এইবার সেই চেষ্টা করছি যাতে ক্যামেরা বসাতে পারি।”

আরও পড়ুন: BJP meet Narendra Modi: মোদী সাক্ষাতে বিজেপির বঙ্গব্রিগেড, সিএএ-র বাস্তবায়নে জোর