Mukul Roy in Assembly: পিএসি বৈঠকে যোগ দিতে বিধানসভায় মুকুল, বললেন ‘ডেকেছে, এসেছি’
BJP: অন্যদিকে বিধানসভায় পিএসি-বিতর্কের আঁচ পড়ল সংবিধান দিবস পালনেও। অনুষ্ঠান বয়কট করেছে বিজেপি।
কলকাতা: পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (PAC) বৈঠকে যোগ দিতে শুক্রবার বিধানসভায় গেলেন মুকুল রায়। দীর্ঘদিন পর এদিন বিধানসভায় যান তিনি। এর আগে মুকুল জানিয়েছিলেন, তিনি অসুস্থ। এরই মধ্যে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ডেকে পাঠান পিএসি বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য। সেই সময়ই মুকুল রায় জানিয়েছিলেন ২৬ নভেম্বর যে বৈঠক, সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন তিনি।
শুক্রবার নির্ধারিত সময়েই বিধানসভায় দেখা যায় মুকুল রায়ের উপস্থিতি। তাৎপর্যপূর্ণ সুপ্রিম কোর্টের তরফে সম্প্রতি অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পিএসি-বিতর্কের অবসান ঘটানোর জন্য। এরই মধ্যে এদিন মুকুলের বিধানসভায় উপস্থিতি এবং পিএসির বৈঠকে যোগদান।
মুকুল রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমি বৈঠকে ডাক পেয়েছি। তাই যোগ দিতে এসেছি।” এর আগে পিএসির চেয়ারম্যান হওয়ার পর একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। মাঝে দীর্ঘ সময় তাঁকে পিএসি বৈঠকে দেখা যায়নি। এদিন যোগ দিলেন ফের। কিছুদিন পরই বিভিন্ন রাজ্যের পিএসির যে চেয়ারম্যানরা রয়েছেন তাঁদের নিয়ে দিল্লিতে এক বৈঠক রয়েছে। সেখানে মুকুল রায় যাবেন কি না সেদিকেও নজর থাকবে।
অন্যদিকে বিধানসভায় পিএসি-বিতর্কের আঁচ পড়ল সংবিধান দিবস পালনেও। অনুষ্ঠান বয়কট করেছে বিজেপি। সংবিধান দিবসে একজনও বিজেপি বিধায়ককে সেখানে দেখা যায়নি এদিন। বিজেপি পরিষদীয় দলের বক্তব্য, পিএসি নিয়ে তাদের বঞ্চনা করা হয়েছে। বিধানসভার রীতি ভাঙা হয়েছে। অতীতে বারংবার দেখা গিয়েছে পিএসসি চেয়ারম্যান বিরোধী দল থেকে হয়েছে। মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেও তাঁকেই চেয়ারম্যান করা হয়েছে পিএসির। সেই কারণেই বিজেপি গত কয়েক মাস ধরে সরকারি কোনও অনুষ্ঠানেই অংশ নেয় না।
বিশেষ করে সরকার পক্ষের বিধায়করা কিংবা অধ্যক্ষের সঙ্গে একযোগে কোনও অনুষ্ঠানে শামিল হতে বিজেপি বিধায়কদের দেখা যায় না। সংবিধান দিবসেও নিজেদের অবস্থানেই অনড় রইল বিজেপি। বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, তারা তাদের ঘরে সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠান নিজেদের মতো করে পালন করবে।
এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সরকারকে সচল রাখতে গেলে সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অযথা বিতর্ক তৈরি করার জায়গা এটা নয়। আমি বিশ্বাস করি যাঁরা সাংবিধানিক পদে রয়েছেন তাঁরা এটা মনে রাখবেন। কেন বিরোধীরা ছিল না তা তারাই বলতে পারবে। তবে বিধানসভার যে কোনও অনুষ্ঠান, কোনও কর্মসূচি শাসক-বিরোধী সকলের জন্য। সেখানে সবার উপস্থিতিই একান্ত ভাবে কাম্য।”
একই সঙ্গে এদিনের সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে একজনও মন্ত্রীকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। এ প্রসঙ্গে অবশ্য অধ্যক্ষের বক্তব্য, পুরসভার ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ায় হয়ত তা নিয়ে অনেকে ব্যস্ত আছেন। সে কারণেই আসতে পারেননি।