আচার্যের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় উপাচার্য নিয়োগের ঘোষণা পার্থর
শিক্ষা মহলের একাংশের মতে, আচার্যের দেখানো পথে হেঁটে তাঁকেই আসলে বোঝাতে চাইলেন, নিয়োগের সর্বোচ্চ ক্ষমতা উচ্চশিক্ষা দফতরের। সার্চ কমিটির সুপারিশ মত নিয়োগ করা হয়।
কলকাতা: গত দু’দিন ধরেই উপাচার্য নিয়োগের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করছেন রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar)। শুক্রবার একাধিক উপাচার্য নিয়োগের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। শিক্ষা মহলের একাংশের মতে, আচার্যের দেখানো পথে হেঁটে তাঁকেই আসলে বোঝাতে চাইলেন, নিয়োগের সর্বোচ্চ ক্ষমতা উচ্চশিক্ষা দফতরের। সার্চ কমিটির সুপারিশ মত নিয়োগ করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় টুইট বার্তায় লেখেন, ‘রাজ্যপালের কাছে প্রথামাফিক সম্মতির জন্য পাঠানো হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে শুরু হওয়া উত্তরবঙ্গের মানুষের বহু প্রতিক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।’ সুকৌশলে রাজ্যপালকে বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর সম্মতি আসলে ‘প্রথামাফিক’। একইসঙ্গে পাহাড়ের আবেগও উস্কে দিয়েছেন।
Functioning of the Alipurduar University is about to start as the Search Committee constituted by the State Govt has recommended the following names in order of preference for appointment as First VC, Alipurduar University: (1/3)
— Partha Chatterjee (@itspcofficial) December 18, 2020
দার্জিলিং হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য খোঁজার জন্য তিন সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার। টুইটেই কমিটির তিন সদস্যের নাম উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দিলীপ কুমার ঘোষ সরকার, জলপাইগুড়ি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ড. পূজন সরকার এবং কালিম্পং কলেজের অধ্যক্ষ রাজেন্দ্র প্রসাদ ধাকলকে নিয়ে সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে।
২০১৮ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করার জন্য সার্চ কমিটি গঠনের কথাও টুইট বার্তায় উল্লেখ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহেন্দ্র নাথ রায়, সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায়, এবং পি ডি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. শান্তি ছেত্রীকে নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গড়া হয়েছে। এমনকি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মানস কুমার সান্যালকে নিয়োগ করার কথাও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্য বনাম রাজ্যপালের দ্বৈরথে প্রশাসনিক ঘোষণার প্রতিযোগিতা নয়া মাত্রা যোগ করল।