Physical Assault: প্রস্রাবের দ্বারে ক্ষত, তা থেকে সারা শরীরে সংক্রমণ! ডায়মন্ড হারবারের আবাসিক স্কুলে ১০ বছরের শিশুর ওপর ‘শারীরিক নিগ্রহ’

Physical Assualt: তাঁর অভিযোগ, "ভাই সব সময় বলত আমার পেনসিল নিয়ে নিচ্ছে, টিফিন নিয়ে নিচ্ছে, আমার রবার নিয়ে নিচ্ছে, আমাকে দিয়ে কাজ করাচ্ছে, আমাকে বাঁচা বাঁচা বলত... তবে যারা এটা করত, তারা ওর থেকেই বড়, কোন ক্লাসে পড়ে জানি না।"

Physical Assault: প্রস্রাবের দ্বারে ক্ষত, তা থেকে সারা শরীরে সংক্রমণ! ডায়মন্ড হারবারের আবাসিক স্কুলে ১০ বছরের শিশুর ওপর 'শারীরিক নিগ্রহ'
শিশুটির দিদি Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 11, 2024 | 12:17 PM

কলকাতা: ডায়মন্ড হারবারের একটি স্কুলে দশ বছরের পড়ুয়ার ওপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। অকথ্য অত্যাচার! বারবার আঘাতে প্রস্রাবের দ্বারে ক্ষতস্থান। আর সেই ক্ষতস্থান থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে সারা শরীরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দশ বছরের ওই শিশু এখন এSসএসকেএম-এর শিশু শল্য বিভাগে চিকিৎসাধীন। ভাইয়ের এই অবস্থার জন্য আবাসিক হোম কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন শিশুটির দিদি। তাঁর অভিযোগ, “ভাই সব সময় বলত আমার পেনসিল নিয়ে নিচ্ছে, টিফিন নিয়ে নিচ্ছে, আমার রবার নিয়ে নিচ্ছে, আমাকে দিয়ে কাজ করাচ্ছে, আমাকে বাঁচা বাঁচা বলত… তবে যারা এটা করত, তারা ওর থেকেই বড়, কোন ক্লাসে পড়ে জানি না।” তিনি অভিযোগ করেন, “হস্টেল তো পাত্তাই দেয়নি। প্রথম থেকে যদি বিষয়টা দেখত। প্রথম থেকেই যদি বলত, যে আপনার বাচ্চার অবস্থা খারাচ, আপনারা নিয়ে যান… তাহলে প্রথম থেকে ভাল চিকিৎসা পেত।”

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দশ বছরের ওই শিশু এই মুহূর্তে অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছে। তার আইসিইউ বেডের প্রয়োজন ছিল। সংক্রমণের শিকার হওয়া ওই শিশু এখন ডিজওরিয়েনটেশনেরও শিকার। তার আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত SSKM কর্তৃপক্ষ সেই বেডের ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি।

হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ফলতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে শিশুটির পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই হোম কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি। ঘটনায় আবাসিক স্কুলের সুপার সৌমেন পুরকাইতের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে TV9 বাংলা। তিনি বলেন, “ঝাঁট দিতে দিতে খাটের পায়া পায়ে পড়ে গিয়েছিল। ঘটনার সময়ে আমি ছিলাম না। ছেলেরা বলল ও পড়ে গিয়েছে। আমি ওষুধপত্র দিয়ে ডাক্তারে খবর দিই। সব ওখানে ছোট ছোট ছেলে। ওরা কেউ কীভাবে কিছু করবে!”