Fraud Case: টাকা দিয়ে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে মেয়ের সিট পাকা করতে চেয়েছিলেন! মাথায় হাত বাবার

Kolkata Police: সরকারি মেডিক্যাল কলেজে সিট পাকা করে দেওয়ার টোপ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। বিশ্বাস অর্জন করতে দেখানো হয়েছিল ভুয়ো নথিপত্রও। সেই জালিয়াতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই এক কোচিং সেন্টারের কর্তাকে গ্রেফতার করেছে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ।

Fraud Case: টাকা দিয়ে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে মেয়ের সিট পাকা করতে চেয়েছিলেন! মাথায় হাত বাবার
প্রতীকী ছবি Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 25, 2024 | 10:41 PM

কলকাতা: ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা ঘিরে যখন গোটা দেশে বিতর্কের ঝড় উঠেছে, তখন খাস কলকাতায় চলছিল অন্য এক ‘খেলা’। লোক ঠকানোর নতুন কারবার শুরু হয়েছিল শহরের বুকে। সরকারি মেডিক্যাল কলেজে সিট পাকা করে দেওয়ার টোপ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। বিশ্বাস অর্জন করতে দেখানো হয়েছিল ভুয়ো নথিপত্রও। সেই জালিয়াতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই এক কোচিং সেন্টারের কর্তাকে গ্রেফতার করেছে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ।

ধৃত ওই ব্যক্তির নাম সৌরিশ ঘোষ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ব্যক্তি প্রাইভেটে একটি কোচিং সংস্থা চালায়। জানা যাচ্ছে, কলকাতার বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলেছিল সৌরিশ ও তার দলবল। ওই ব্যক্তিকে টোপ দেওয়া হয়েছিল তাঁর মেয়ে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে সিট পাইয়ে দেওয়া হবে। তার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা লাগবে। সেই টোপে পা দিয়েই এখন মাথায় হাত ওই ব্যক্তির। দাবি করা হচ্ছে, সৌরিশ ঘোষ নামে ওই প্রতারকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, সঙ্গে নগদে আরও ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারীর বিশ্বাস অর্জনের জন্য তাঁকে কিছু ভুয়ো নথিপত্রও পাঠানো হয়েছিল। সেখানে দেখানো হয়েছিল, অভিযোগকারীর মেয়ের নাম রাজ্যের এক সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য তালিকভুক্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরে যখন তিনি বুঝতে পারেন, প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন, তখন মাথায় হাত ওই ব্যক্তির। সঙ্গে সঙ্গে শেক্সপিয়র সরণি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই সৌরিশ ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ৫ জুলাই পর্যন্ত তার পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।