KMC Election 2021: বুথের ভোটার ছাড়া এজেন্ট নয়, নিরাপত্তায় কড়া কমিশন
State Election Commission : বাইরের বুথের কোনও ভোটারকে এজেন্ট হিসেবে বুথে বসানো যাবে না। সাধারণত, এতদিন সংশ্লিষ্ট বিধানসভা এলাকা ভোটার হলেই যে কোনও একটি বুথে এজেন্ট হতে পারতেন।
কলকাতা : কলকাতা পৌরনিগমের ভোটে নিরাপত্তার বিষয়ে কড়া কমিশন। কোনও বুথে এজেন্ট হতে পারবেন কেবলমাত্র সেই বুথের ভোটারই। বাইরের বুথের কোনও ভোটারকে এজেন্ট হিসেবে বুথে বসানো যাবে না। সাধারণত, এতদিন সংশ্লিষ্ট বিধানসভা এলাকা ভোটার হলেই যে কোনও একটি বুথে এজেন্ট হতে পারতেন। কিন্তু কমিশনের নয়া নির্দেশে বলা হয়েছে, এমনটা হলে বাইরের কোনও ব্যক্তিও এলাকায় প্রবেশ করতে পারেন। তাই একমাত্র সংশ্লিষ্ট বুথের ভোটাররাই এজেন্ট হতে পারবেন।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের তরফে বার বার এই দাবি করা হয়েছে। শাসক শিবিরের দাবি ছিল,বুথের ভোটারই সেই বুথে এজেন্ট হবে। কিন্তু বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস -সহ বিরোধীরা বলে আসছিল, বিধানসভা এলাকার ভোটার হলেই যেন এজেন্ট করতে দেওয়া হয়। এখন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে আদতে শাসক দলের ইচ্ছাই মান্যতা পেল বলে মত বিরোধীদের।
এর পাশাপাশি বলা হয়েছে, ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। ভোটের দিন বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ। কোনও মন্ত্রী তার নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ওই এলাকায় ঘুরতে পারবেন না।
নির্বাচনের ৪৮ ঘন্টা আগে বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনও দেওয়াল লিখন থাকবে না। প্রতিশ্রুতি সংক্রান্ত বিষয়ে বিজ্ঞাপন ভোটের এলাকায় থাকবে না। মাইকের ব্যবহার সকাল ৮টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত করা যাবে।
এদিকে সোমবারই স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন। প্রাথমিক ভাবে সেখানে ঠিক হয়েছে, ভোটের ১৭ দিন আগে করোনা রোগীদের তালিকা তৈরি করা হবে। যাঁরা করোনা আক্রান্ত রয়েছেন, তাঁদের পৃথক সময় করে ভোটের দিন নিয়ে যাওয়া হবে বুথে। তার জন্য নির্বাচনের দিন ১৯ ডিসেম্বর প্রত্যেক বরোতে তিনটি করে অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে।
কলকাতা পুরভোট ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলির যেমন তৎপরতা তুঙ্গে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনও একই ভাবে তৎপরতার সঙ্গে প্রস্তুতি সারছে। সোমবারই ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে এক বৈঠক হয়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনে কলকাতা পুরভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকরা সেই বৈঠকে বসেন। তার আগে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও তাঁরা বৈঠক করেন।
একই সঙ্গে ঠিক হয়েছে, যে সমস্ত পুরপ্রতিনিধিরা ভোটের দায়িত্বে থাকবেন তাঁদের জন্য সেক্টর অফিসে ভোটের ৩-৪ দিন আগে টিকাকরণের বন্দোবস্ত করা হবে। এই প্রথমবার কমিশন নিজেদের উদ্যোগে এই টিকাপ্রদানের ব্যবস্থা করবে। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলেই পুরো বিষয়টি হবে। প্রতিটি বুথে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, শরীরের তাপমাত্রামাপক যন্ত্রও অত্যাবশ্যক।
আরও পড়ুন : Covid Restriction: শিয়রে ওমিক্রন! বিধি-নিষেধের সময়সীমা আরও বাড়ল রাজ্যে